Nadia Incident

বিএসএফ ক্যাম্পের ঘরে জওয়ানের ঝুলন্ত দেহ! মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা, তদন্তে তেহট্টের পুলিশ

প্রতি দিনের মতো সোমবার সন্ধ্যায় উপস্থিতি যাচাই করছিলেন বিএসএফ আধিকারিকেরা। সে সময় ওই জওয়ান অনুপস্থিত ছিলেন। পরে ক্যাম্পের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন সহকর্মীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৫২
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ব্যারাকের মধ্যে এক বিএসএফ জওয়ানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার তেহট্টে। আত্মহত্যা না খুন, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে তেহট্ট থানার পুলিশ। তদন্তকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত জওয়ানের নাম বিক্রম ধোবি (২৬)। রাজস্থানের বাসিন্দা তিনি। কর্মসূত্রে থাকতেন তেহট্টের বিএসএফ ব্যারাকে। ১৬১ নম্বর ব্যাটালিয়ানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তেহট্ট থানার নিউ পাথরঘাটা ক্যাম্পে থাকতেন বিক্রম। সোমবার সন্ধ্যায় সেখানেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

প্রতি দিনের মতো সোমবার সন্ধ্যায় জওয়ানদের উপস্থিতি যাচাই করছিলেন আধিকারিকেরা। সে সময় বিক্রম অনুপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁর খোঁজ শুরু করেন সহকর্মীরা। দেখেন ক্যাম্পের ঘরে তাঁর দেহ ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে বিক্রমকে উদ্ধার করে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তেহট্ট থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে বিক্রমের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছে তারা। পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। গত কয়েক দিন বিক্রমের স্বভাব, আচার-আচরণ কেমন ছিল, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই ওই জওয়ান আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলতে রাজি নন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার বিক্রমের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। তার পরই দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেবে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement