আম পেড়ে দেওয়ার নামে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ  

আম পেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছোট্ট মেয়েকে সে নিয়ে যায় বাগানের এক পাশে। সঙ্গের শিশুটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাড়ির পাশে আমবাগানে গাছভর্তি কাঁচা আমে। পাশের বাড়ির তিন বছরের বন্ধুর সঙ্গে সেই আম কুড়োতে গিয়েছিল বছর পাঁচেকের মেয়েটি। উঁচু ডালে থরে-থরে আম ঝুলে। লাফ দিয়ে অনেক চেষ্টা করেও নাগাল পাচ্ছিল না তারা। এমন সময় সেখানে আসে পরিচিত পড়শি সেঞ্জারুল শেখ। আম পেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছোট্ট মেয়েকে সে নিয়ে যায় বাগানের এক পাশে। সঙ্গের শিশুটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

Advertisement

কিছু ক্ষণ পর যন্ত্রণার কাঁদতে-কাঁদতে বাড়ি ফেরে সেই বালিকা। তার মায়ের কথায়, ভাল করে হাঁটতেই পারছিল না মেয়ে। শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে তিনি দেখেন, প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। মেয়েই তাঁকে জানায়, অত্যাচার চালিয়েছে সেঞ্জারুল। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার তেঘরি গ্রামে মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে। রঘুনাথগঞ্জ থানার আই সি সৈকত রায় জানান, অভিযুক্ত সেঞ্জারুল শেখের বিরুদ্ধে শিশু-ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরেই পকসো আইনে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক। মেয়েটিকে প্রথমে তেঘরি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই রেফার করা হয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে কথা বলা বন্ধ করেছে শিশু। মা-কে আঁকড়ে ধরে আছে, মায়ের কাছছাড়া হলেই চিৎকার করে উঠছে।

হাসপাতালে বসে কান্নায় ভেঙে পড়ে মা বলেছেন, ‘‘এতদিন টিভির খবরে এ সব দেখেছি। দেশজুড়ে এই সব ঘটছে। কিন্তু নিজের মেয়ে নিজের পাড়ায় এই ভাবে নির্যাতিত হতে পারে, কোনওদিন ভাবিনি। দোষীর এমন শাস্তি হোক যাতে আর কোনও দিন কেউ এমন কাজের সাহস না-করে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement