হাসপাতালে জখম দুই পুলিশকর্মী।— নিজস্ব চিত্র
রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদের কর্তাকে হেনস্থার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই আক্রান্ত হল পুলিশ। ঘটনাস্থল সেই ফরাক্কা। শুক্রবার মাঝ রাতে পুলিশকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় জখম হলেন আট পুলিশকর্মী। তাঁদের মধ্যে তিনজন জঙ্গিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের। দলীয় কর্মীদের হাতে পুলিশের আক্রান্ত হওয়া ও বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারকে হেনস্থার ঘটনায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছেন ফরাক্কার ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আজ, রবিবার ফরাক্কায় দলের গ্রামাঞ্চলের নেতাকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন ব্লক সভাপতি। ফরাক্কার ব্লক সভাপতি মহম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, “নির্বাচনের পর দলীয় কর্মীদের জানানো হয়, ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনও আন্দোলন করা যাবে না। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতরের অফিসারের উপর হামলা দল সমর্থন করা যায় না।’’
এনটিপিসি লাগোয়া জোরপুকুরিয়া এলাকায় বরাবরই দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত রয়েছে। গ্রামে এনটিপিসির তোলা আদায় নিয়ে শাসকদল দ্বিধাবিভক্ত। পুলিশের দাবি, এ নিয়ে দু’পক্ষই মাঝেমধ্যেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে।
এ দিন গভীর রাতে ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমবাজি শুরু হয়। এক গ্রামবাসী ফোনে বিষয়টি পুলিশকে জানান। খানিকক্ষণের মধ্যে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। গাড়ি থেকে নামতেই ওই পুলিশকর্মীদের উপর একটি বোমা পড়ে। আর তাতেই ওই পুলিশকর্মীরা জখম হন। জখম পুলিশকর্মীদের বেনিয়াগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এএসআই মুকুল মিঞা, কনস্টেবল প্রদীপ ঘোষ ও গাড়ির চালক রহমত শেখকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়। তাঁদের পায়ে, মুখে ও মাথায় আঘাত লেগেছে। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার জঙ্গিপুরের এসডিপিও পিনাকী দত্ত বড় বাহিনী নিয়ে গ্রামে যান। ওই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে।