মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের অবরোধ সরানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
প্রাচীন ঐতিহ্য সংস্কারের দাবিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন স্থানীয়রা। সে জন্য দীর্ঘ চার ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয়েছিল মালদহ থেকে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া সাত বছরের এক বাচ্চাকে। অভিযোগ, অবরুদ্ধ হওয়ার জেরেই অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বাচ্চাটির। বুধবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মৃত বালকটির নাম সাকিবুল শেখ (৭)। তার বাড়ি মালদহের মোথাবাড়ি থানার অনন্তপুর গ্রামে। স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। মঙ্গলবার বিকালে বাড়ির ছাদে খেলা করছিল সাকিবুল। তখনই ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে তার মাথায় আঘাত লাগে। সে সময় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে বলেন চিকিৎসকরা। কলকাতার উদ্দেশে বেরিয়ে কৃষ্ণনগরের কাছে আটকে পড়ে তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্স। অভিযোগ, বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও অবরোধকারীরা যেতে দেননি তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্সকে।
মৃত সফিকুলের বাবার অভিযোগ, ‘‘ছেলেকে নিয়ে আমি মালদহ থেকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলাম। সেই সময় অবরোধ চলছিল। বহুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর আমার ছেলে মারা যায়। পরে ছেলেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে্ন।’’ এর পর কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করছে। এবং পাঁচ জনকে গ্রেফতারও করেছে।
অন্য একটি ঘটনায় ১০ বছরের একটি বালকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির গুপ্তিপাড়ায় সুলতানপুর এলাকায়। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ওই বালকের নাম ইয়াসিন শেখ (১০)। মঙ্গলবার বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ ছিল সে। বুধবার গঙ্গার ধারে হাঁটু-সমান জল থেকে ইয়াসিনের দেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের লোকের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে ইয়াসিনকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।