৪৮ ঘণ্টা পরেও কামরু অধরাই

সিপিএম কর্মী তাহিদুল খুনের পরেও এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল মূল অভিযুক্ত কামরুজ্জুমানকে— এমনই অভিযোগ ছিল সিপিএমের। স্থানীয় পুলিশও যে তাঁকে ধরতে তেমন ‘আগ্রহী’ নয়, তাদের কথাবার্তায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল তা-ও। তবে তা নিয়ে জলঘোলা শুরু হতেই শনিবার সকাল থেকেই এলাকায় আর দেখা মেলেনি সৌমিক ঘনিষ্ঠ কামরুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৬ ০২:০২
Share:

সিপিএম কর্মী তাহিদুল খুনের পরেও এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল মূল অভিযুক্ত কামরুজ্জুমানকে— এমনই অভিযোগ ছিল সিপিএমের। স্থানীয় পুলিশও যে তাঁকে ধরতে তেমন ‘আগ্রহী’ নয়, তাদের কথাবার্তায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল তা-ও। তবে তা নিয়ে জলঘোলা শুরু হতেই শনিবার সকাল থেকেই এলাকায় আর দেখা মেলেনি সৌমিক ঘনিষ্ঠ কামরুর। হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে পুলিশও। ‘পাওয়া না গেলে কগী করব’ গোছের দায়সারা জবাব দিয়ে তারাও হাত গুটিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করছে, বাম-কংগ্রেস এক সঙ্গে। সৌমিকের ছত্রছায়ায় কামরুর বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ার মতো। গত কয়েক বছরে হরিডোবা এলাকার বাইরে তার রাজনীতির প্রসার ঘটেনি। আগাগোড়া তার রাজনৈতিক দৌড় আটকে ছিল হরিডোবার সীমানার মধ্যেই। বাম জমানায় সে কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িত ছিল। কংগ্রেসের টিকিটে জিতে পঞ্চায়েতের প্রধানও হয়েছিলেন। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে স্ত্রীকে দাঁড় করায় সে। তাঁর স্ত্রী প্রধান হন। মাস ছয়েক আগে সে ঘনিষ্ট কয়েকজন সাগরেদকে নিয়ে মান্নান হোসেনের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেয়। শাসকদলে যোগ দিয়ে কামরুজ্জামানের দাপট বেড়ে যায় হুহু করে। উপরে ভগবান, নীচে প্রধান (কামরুজ্জামান)—এই চোখেই তাঁকে দেখতে থাকেন এলাকার লোকজন।

Advertisement

তৃণমূলে যোগ দিয়ে অপরাধ জগতে হাত পাকাতে থাকে সে। এলাকার ডানপিঠে যুবকেরা অষ্টপ্রহর তাকে ঘিরে থাকত। ইটভাটার মালিক থেকে ডোমকলে বাড়ি সঙ্গে গাড়ি ব্যবসা, সব মিলিয়ে ঘুরপথে অল্প সময়ে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠা কামরুজ্জামান। অচিরেই মান্নান-পুত্র সৌমিক হোসেন ঘনিষ্ট হয়ে ওঠে সে। সৌমিকের ভোট প্রচারে তাকে প্রায়ই দেখা যেত। বিরোধীদের দাবি, সৌমিকের সঙ্গে ঘনিষ্টতার সূত্রে কামরুজ্জামান আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement