পলিকে দেখা গিয়েছিল এক যুবকের সঙ্গে

রাসের আড়ং-এর দিন নিজের বাড়ির সামনে থেকেই নিখোঁজ হলেন বছর পঁচিশের এক তরুণী। পলি পাল নামের ওই তরুণীর বাড়ি নবদ্বীপ ফাঁসিতলা ঘাটে। ঘটনার পর চার দিন কেটে গেলেও হদিস মেলেনি পলির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৪
Share:

নিখোঁজ তরুণী পলি পাল। —নিজস্ব চিত্র।

রাসের আড়ং-এর দিন নিজের বাড়ির সামনে থেকেই নিখোঁজ হলেন বছর পঁচিশের এক তরুণী। পলি পাল নামের ওই তরুণীর বাড়ি নবদ্বীপ ফাঁসিতলা ঘাটে। ঘটনার পর চার দিন কেটে গেলেও হদিস মেলেনি পলির।

Advertisement

গত শনিবার, ২৪ নভেম্বর ছিল নবদ্বীপের রাসের আড়ং। সকাল দশটা নাগাদ গঙ্গার ঘাট লাগোয়া বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন পলি পাল নামে ওই তরুণী। বাড়িতে তখন ছিলেন মা অনিমা পাল।

তিনি জানিয়েছেন, শনিবার সকাল দশটা নাগাদ স্নান সেরে, জলখাবার খেয়ে পলি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পাড়ার ঠাকুরের বাজনা বাজছিল। পলির মা অনিমা ঘরে বসে বিড়ি বাঁধার কাজ করছিলেন। দুপুর বারোটা নাগাদ শ্বশুরবাড়ি থেকে বড় মেয়ে আসেন। তিনিই প্রথম বোনের খোঁজ করেন। তখনই বোঝা যায় যে, পলি নিখোঁজ।

Advertisement

অনিমা বলেন, “মেয়ে আমার মানসিক ভাবে কিছুটা অসুস্থ। বোকা, আদৌ চালাক-চতুর নয়। তার উপর ভাল করে গুছিয়ে কথাও বলতে পারে না।” এর পরে পলির খোঁজে বাড়ির লোকেরা প্রথমে পাড়ার আশেপাশে বিভিন্ন বাড়িতে খোঁজ শুরু করেন। তার পর শহরের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করে কোথাও তাঁর হদিস না পেয়ে শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পলির বাবা বলরাম পাল।

পলি বাড়িতে রেডিমেড ব্লাউজ সেলাইয়ের কাজ করতেন। পেশায় রিকশাচালক বলরাম বলেন, “মেয়ে পাড়ার বাইরে বিশেষ কিছু চেনেও না। অনুমান, কেউ ওকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়েছে।” এমন আশঙ্কার কারণ কী? জবাবে ওই তরুণীর পরিবার জানাচ্ছে, ঘটনার দিন সকালে এলাকায় পলিকে এক যুবকের সঙ্গে গঙ্গার ঘাটে ঘুরতে এবং কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। পড়শিরা ভেবেছিলেন, হয়তো রাসে বাড়িতে আত্মীয়-পরিজন কেউ এসেছেন।

পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে তাঁর বিয়ের সম্বন্ধ দেখা চলছিল। পূর্ব বর্ধমানের শ্রীরামপুরের এক যুবকের পরিবার পলিকে পছন্দ করলেও ছেলের সমস্যার কারণে সে সম্মন্ধ বাতিল করে দেন বলরামেরা। কিন্তু ওই যুবক নাকি মাঝে-মাঝেই নবদ্বীপ ফাঁসিতলা গঙ্গার ঘাটে আসতেন, যে ঘাটে বলরামদের বাড়ি। যদিও রাসের দিন সকালে পলির সঙ্গে যাঁকে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল, তিনিই সেই যুবক কি না, তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। এ দিকে মঙ্গলবার সকালে শ্রীরামপুরে ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলরাম জানতে পেরেছেন তিন-চার দিন ধরে হদিস নেই সেই যুবকেরও।

তবে কি বাড়ির অমতে নিজেরাই চার হাত এক করে নিলেন পলিরা? নিখোঁজ তরুণীকে নিয়ে প্রশ্ন সেটাই।

আপাতত, সেই উত্তরের সন্ধানেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement