একটানা অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ২২ জন বন্দি। গত বুধবার থেকে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে অনশনে বসেছেন বন্দিদের একাংশ। তার মধ্যে ২২ জন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি কার হয়। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতেই ১৯ জনকে এবং শুক্রবার সকালে ভর্তি করানো হয় তিন জনকে।
দ্রুত বিচার শেষ করার দাবি-সহ বিভিন্ন দাবিতে গত বুধবার সকাল থেকে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের প্রায় ছ’শো বিচারাধীন বন্দি অনশন শুরু করে। অনশনকারী সকলেই ‘নার্কোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট’ (এনডিপিএস) মামলায় অভিযুক্ত। জেলা সুপার টিআর ভুটিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২২ জন অনশনকারীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অনশন প্রত্যাহার না করলে অসুস্থের সংখ্যা বাড়বে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল অনশনকারীদের পর্যবেক্ষণ করেছেন।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দোতলার একটি ঘরে অসুস্থ ওই বন্দিদের রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হামিদ আলি জানান, বন্দিদের অনেকেই দীর্ঘ দিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত ও মধুমেহ রোগে ভুগছেন। এখন অনশন করার ফলে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে রোগীদের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
এ দিকে বিচারাধীন ওই বন্দিদের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য কারামন্ত্রীকে ফোনে অনুরোধ জানান বহরমপুরের বিধায়ক কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী। কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘‘আদালতের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনও কথা বলা উচিত নয়। ওই বিষয়ে আইন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে। তবে অনশন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের মেডিক্যালে ভর্তি করতে এবং সুস্থ হলে ফের জেলে আনা হবে।’’
সঘন বরষায়
দারুন দহন অন্তে সে এসেছে— ভরা নদী, স্কুল-ছুটি, চপ-মুড়ি কিংবা নিঝুম দুপুর-রাতে ব্যাঙের কোরাস নিয়ে সঘন বরষা রয়েছে কি আগের মতোই? কিছু প্রশ্ন, কিছু স্মৃতি নিয়ে সেই কাদা-জলে পা রাখল আনন্দবাজার। চোখ রাখুন এই সংস্করণে।