হুকিংয়ের সমস্যার সমাধান চায় নবান্ন। — ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি একবালপুরে বিদ্যুতের তারে ভিজে কাপড় মেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন জামাই। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় স্ত্রী এবং শাশুড়ির। এর জন্য বেআইনি হুকিংকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়েরা। তাই এ বার বেআইনি হুকিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে নবান্ন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিহতদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরেই এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তার পরেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্ট নীতি ঠিক করতে বুধবার নবান্নে হুকিং নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সিইএসসির শীর্ষ আধিকারিকেরা। বৈঠকেই রাজ্য সরকারের তরফে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে এ বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। কারণ কলকাতা শহরে কোথায় কোথায় বেআইনি হুকিং রয়েছে, তা তাদের থেকে ভাল কেউ জানেন না। তাই বেআইনি হুকিং রুখতে দু’পক্ষকেই একযোগে কাজ করতে হবে, তা-ও বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
রবিবারই ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় বিধায়ক তথা মেয়র বলেছিলেন, ‘‘সিইএসসি’র সঙ্গে কথা বলেছি। এ ভাবে চলতে পারে না। কোথায় কোথায় বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে, তা সিইএসসি-র দেখার কথা।’’ তাই বৈঠকে উপস্থিত সিইএসই-র আধিকারিকদেরও তাঁদের দায়িত্ব প্রসঙ্গে সচেতন করতে পারে রাজ্য সরকার। প্রশাসন চায় না, এ ভাবে বেআইনি হুকিংয়ের কবলে পড়ে কলকাতা শহরে মানুষ মারা যান, তাই আগে থেকেই এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষপাতী তাঁরা। আর মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে সেই কাজ দ্রুততার সঙ্গে সেরে ফেলতে চাইছেন নবান্নের শীর্ষ কর্তারা। কারণ, বেআইনি হুকিংয়ের সমস্যা দীর্ঘ দিন ধরেই শহরের ঘিঞ্জি এলাকাগুলিতে বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু ক্ষেত্রে এই হুকিংয়ের জন্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। সে কারণেই নবান্ন পরিকল্পনা করে এই বিষয়ে এগোতে চাইছে।