কোন দফতরে কত কর্মী, জানতে চায় নবান্ন। — ফাইল চিত্র।
কোন দফতরে কত সংখ্যায় সরকারি কর্মী রয়েছেন, জানতে এ বার উদ্যোগ শুরু করল নবান্ন। গত সপ্তাহে কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর এই সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্ত দফতরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। সব দফতরকে একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট মেনে কর্মীদের বিষয়ে নানা তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। কোন ফরম্যাটে এই চিঠি পাঠানো হবে তা-ও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে এই চিঠিতে। জরুরি ভিত্তিতে এই কাজটি করে আগামী দু’মাসের মধ্যে দফতরগুলিকে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। দফতরগুলির কাজে মোট চার ধরনের কর্মীর হিসাব চাওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, দফতরগুলিকে পাঠানো চিঠিতে নিম্নপদস্থ আঞ্চলিক অ্যাসিস্ট্যান্ট, উচ্চপদস্থ আঞ্চলিক অ্যাসিস্ট্যান্ট, প্রধান অ্যাসিস্ট্যান্ট ও সেকশন অফিসারের অনুমোদিত পদ কত ও সেখানে কত জন কর্মী রয়েছেন, জানাতে বলা হয়েছে। গত ৩০ জুন পর্যন্ত যে সব কর্মী কাজ করেছেন, মূলত তাঁদেরই বিস্তারিত তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। প্রশাসনিক মহলের একাংশ মনে করছে, আগামী দিনে সরকারি দফতরে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য কর্মী সংক্রান্ত সঠিক পরিসংখ্যান চাইছে নবান্ন।
সম্প্রতি নবান্নের এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য প্রশাসনে কর্মী নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার আগামী এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় মোট ১ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করবে। এর মধ্যে সরকারি দফতরে গ্রুপ ডি পদে ১২ হাজার ও গ্রুপ সি পদে ৩ হাজার কর্মী নিয়োগ করার কথা বলেছিলেন তিনি। তাই মনে করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণার কারণেই কোন দফতরে কত কর্মী রয়েছেন, সেই হিসেব চাওয়ার কাজ শুরু করেছে কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর। তাই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে সরকারি দফতরে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে প্রশাসনিক মহল আশা করছে। সম্প্রতি সরকারি কর্মী নিয়োগের জন্য স্টাফ সিলেকশন কমিশন ফের গঠন করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়ার পর সেই কমিশন কাজ শুরু করবে বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহলের একাংশ।
তবে আরও একটি অংশের মতে, প্রশাসনিক পদোন্নতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিষয় নিয়েও প্রশাসনে এমন তৎরপরতা হতেই পারে। কারণ, সব দফতর থেকে সঠিক পরিসংখ্যান পেলে পদোন্নতি ঠিকঠাক হচ্ছে কি না, সেটা পরিষ্কার হবে নবান্নের কাছে। যদি কোনও ক্ষেত্রে স্থবিরতা চোখে পড়ে, তা হলে সঠিক তথ্য হাতে পেলে ব্যবস্থা নিতে পারবে রাজ্য সরকার। তাই বিভিন্ন দফতরের অনুমোদিত পদের নিরিখে কত জন কর্মী রয়েছেন, সেই হিসেব নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।