—ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা ভারত বন্ধের প্রভাব আজ, মনঙ্গলবার পড়তে পারে রাস্তা ঘাটে। রাজ্য প্রশাসন সরাসরি বন্ধের পক্ষে না হলেও কৃষকদের আন্দোলনকে নীতিগতভাবে সমর্থন জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এর মধ্যে বন্ধের দিন সরকারি কর্মীদের হাজিরা বাধ্যতামূলক করতে আগের মতো অর্থ দফতর নির্দেশিকা প্রকাশ না করায় জল্পনা আরও জলবাতাস পেয়েছে।
অতীতে অন্যান্য বন্ধের দিন অফিসে সরকারি কর্মচারীদের হাজিরা নিশ্চিত করতে নির্দেশিকা প্রকাশ করত অর্থ দফতর। তাতে বলা হত, সব সরকারি এবং সরকার পোষিত অফিস খোলা থাকবে, উপস্থিত থাকতেই হবে কর্মীদের (গত বন্ধে বলা হয়েছিল, রস্টার অনুযায়ী যাঁদের অফিস রয়েছে তাঁদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক), ধর্মঘটের দিন অর্ধদিবস, পূর্ণ দিবস অথবা অন্য কোনও ছুটি মঞ্জুর হবে না, হাজিরা না থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মীর ‘ডায়েস নন’ হবে। তবে হাসপাতালে ভর্তি, আত্মীয়ের মৃত্যু বা আগে থেকে নেওয়া ছুটিতে ছাড় থাকবে। কিন্তু সোমবার রাত সাড়ে ন’টা পর্যন্ত নবান্ন থেকে এমন কোনও নির্দেশিকা প্রকাশিতই হয়নি। সেই কারণে পর্যবেক্ষক শিবিরের ধারণা, মুখে না বললেও শাসকদলের পাশাপাশি প্রশাসনও বন্ধ নিয়ে নীরব থাকল। এ নিয়ে প্রশাসনের তরফে সুনির্দিষ্ট কোনও বক্তব্যও পাওয়া যায়নি এ দিন। বস্তুত, গত প্রায় ন’বছরে এমন ঘটনা ঘটেছে কি না, তা মনে করতে পারছেন না প্রবীণ আধিকারিকদের অনেকেই। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সোমবার বৈঠক করেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে বৈঠকে আবেদনও জানিয়েছে সরকার। তবে এ নিয়ে খুব বেশি কড়া অবস্থান প্রশাসন নেয়নি বলেই বাসমালিক সংগঠনগুলির সূত্রে খবর। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, রাস্তায় লোকজন কম থাকলে বাসের সংখ্যাও কমতে পারে। আবার গোলমালের কারণে গাড়ি ভাঙচুর হওয়ার আশঙ্কা থাকলে রাস্তায় বাসের সংখ্যা আপনা থেকেই কমে আসতে পারে। এ দিনের বৈঠকে বামপন্থী ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব সংগঠনের প্রতিনিধিরা যোগ দেননি। বাম রাজনৈতিক দলগুলি বন্ধ সমর্থন করার কথা জানিয়েছে। রাজ্য পরিবহণ নিগম এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমগুলি অবশ্য বাস পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার কথা জানিয়েছে। রেল এবং মেট্রো পরিষেবাও স্বাভাবিক থাকবে বলে জানানো হয়েছে।