ভোটের ফলাফল যা-ই হোক, সরকারি পরিষেবার মান বজায় রাখতে তৎপর হচ্ছে নবান্ন। পূর্ত দফতর সারা রাজ্যে সব রাস্তার হালহকিকত জানতে চেয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের পথে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু পরিদর্শন করলে বা রাস্তা ভাল আছে বলে জানিয়ে দিলেই চলবে না। ইঞ্জিনিয়ারদের ‘হলফনামা’ দিয়ে লিখিত ভাবে বলতে হবে যে, তাঁদের এলাকার রাস্তা ভালই আছে।
পূর্তকর্তাদের নবান্নে রিপোর্ট পাঠিয়ে জানাতে হবে, রাস্তার কোথাও গর্ত আছে কি না, চলাফেরায় অসুবিধা হচ্ছে কি না। বর্ষা আসার আগেই সারা রাজ্যের রাস্তা যাতে চলাচলের উপযুক্ত থাকে, সে-দিকে নজর দিতে বলেছেন পূর্তসচিব। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতি ১৫ দিন অন্তর রাস্তায় নেমে হাল দেখে রিপোর্ট পাঠাতে বলেছেন তিনি।
বর্ষার আগে রাস্তা সারাই পূর্ত দফতরের রুটিন-কাজের মধ্যেই পড়ে। তবে রাস্তা ভাল আছে, এই মর্মে ইঞ্জিনিয়ারদের ‘হলফনামা’ পেশের ব্যাপারটা নতুন। তাতে জানাতে হবে, তাঁদের এক্তিয়ারভুক্ত সড়কগুলি চলাচলের উপযুক্ত। কোথাও সমস্যা নেই। কোথাও সারাইয়ের প্রয়োজন থাকলে তা-ও নির্দিষ্ট ভাবে দফতরে জানাতে হবে। নীচের স্তর থেকে আসা রাস্তার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্টের দায়িত্ব সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, জোনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার এবং সদরের চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের নিতে হবে। ‘‘কোথাও রাস্তার হাল খারাপ, এমন রিপোর্ট পেলে তিন স্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধেই যাতে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই জন্য এমন সিদ্ধান্ত। ‘সব রাস্তা ভাল’ বলে দিলেই চলবে না। সেটা হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে,’’ বলেন পূর্ত দফতরের এক শীর্ষ কর্তা।
পূর্তকর্তারা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ রাস্তা নতুন করে তৈরি হয়েছে। ফলে ঠিকাদারদের ‘ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড’ শেষ হয়নি। তাই রাস্তা খারাপ হলে ঠিকাদারকেই তা সারাতে হবে। কারণ, রাস্তা নির্মাণের বরাত পাওয়ার সময়েই পরবর্তী পাঁচ বছরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়ে তাঁদের বাড়তি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অন্যান্য রাস্তাও দ্রুত সারাতে হবে।