ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
আর জি কর-কাণ্ডের জেরে এ বার স্থগিত হয়ে গেল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারি অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার তাঁর জন্মদিনে, বিদ্যাসাগর স্ট্রিটের বসতবাড়িতে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
প্রতি বছরই বিদ্যাসাগরের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর বসতবাড়ির প্রাঙ্গণ চত্বরে মণ্ডপ বেঁধে হয় সরকারি অনুষ্ঠান। সে জন্য সরকারি আমন্ত্রণপত্র ছাপানো হয়। শিক্ষাজগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সেখানে বক্তব্য রাখেন, আসেন সাধারণ মানুষও। কিন্তু এ দিন সেখানে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষামন্ত্রী এবং কয়েকজন সরকারি আধিকারিক ছাড়া আর কেউ নেই। বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মালা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আর জি কর-কাণ্ডের জেরে সরকারি অনুষ্ঠান স্থগিত হচ্ছে। বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানও আপাতত স্থগিত করা হল। তবে আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে। কিছুদিন পরে বড় করে করা হবে।’’
বিদ্যাসাগর স্ট্রিটের ওই বসতবাড়িতে ২০১৯ সাল থেকে বিদ্যাসাগর অ্যাকাডেমি করেছে প্রশাসন। দোতলা বাড়িটি জুড়ে রয়েছে বিদ্যাসাগর সম্পর্কিত নানা তথ্য। দোতলার একটি ঘরের দেওয়ালে রয়েছে বিদ্যাসাগরের বংশতালিকা। তাতেই এ দিন দেখা যায়, বিদ্যাসাগরের এক ভাই, দীনবন্ধু ন্যায়রত্নের পুত্র গোপালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচয় হিসাবে ছাপানো অবস্থায় লেখা রয়েছে— ‘মূর্খ ও মাতাল’। বংশতালিকায় গোপালচন্দ্র বাদে অন্য কোনও ব্যক্তি সম্পর্কেই কিছু লেখা নেই। এ দিন সুবীর সাহা নামে এক দর্শনার্থীর বিষয়টি প্রথম নজরে আসে। সেই সময়ে শিক্ষামন্ত্রী ওই তলের অন্য একটি ঘরে ছিলেন। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি ওই ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকে ডেকে ওই দুই শব্দ মুছে ফেলতে নির্দেশ দেন। ব্রাত্যের যুক্তি, বংশতালিকায় ওই ব্যক্তির পাশে এমন পরিচয় লেখার কোনও যুক্তি নেই।
এ দিন কলেজ স্ট্রিটেও বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মালা দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, নিয়োগের জট ক্রমে কাটছে। উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকা প্রকাশ হয়েছে। প্রাথমিকেরও নিয়োগ হয়েছে আগে। নিয়োগ-জট কাটলে ফের আগামী দিনে প্রাথমিকে নিয়োগ হবে।