Mob Lynching

গণপিটুনি ঠেকাতে ভরসা ক্লাব, সিভিক ভলান্টিয়ার

নবান্নের নির্দেশ, মহিলাদের উপরে হওয়া অপরাধগুলির সংবেদনশীলতা বুঝে মামলা রুজু এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে কালক্ষেপ করা যাবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ ০৮:৫১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

গণপিটুনির ঘটনায় মৃতদের নিকটাত্মীয়কে চাকরি এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা মঙ্গলবারই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। কড়া পদক্ষেপের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে। এ বার গণপিটুনির ঘটনা ঠেকাতে ক্লাব এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের আরও বেশি করে ব্যবহারে জোর দিল নবান্ন। সমাজমাধ্যমের উপরে বাড়তি নজরদারির নির্দেশও পুলিশকে দিয়েছে প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল।

Advertisement

গত কয়েক দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গণপিটুনিতে কয়েক জনের মৃত্যু ঘটেছে। বুধবার সব পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারকে লিখিত বার্তায় রাজ্যের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ভিলেজ পুলিশদের আরও বেশি কাজে লাগাতে হবে। স্থানীয় স্তর থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে তাঁদের ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। একই উদ্দেশ্যে স্থানীয় ক্লাবগুলিকেও কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে ওই লিখিত বার্তায়।

নবান্নের নির্দেশ, মহিলাদের উপরে হওয়া অপরাধগুলির সংবেদনশীলতা বুঝে মামলা রুজু এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে কালক্ষেপ করা যাবে না। সমাজমাধ্যম-সহ একাধিক মাধ্যমে গুজব বা ভুয়ো খবর ছড়ানোর প্রবণতা ঠেকাতে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি বার করতে হবে।

Advertisement

ডাকাতির ঘটনা প্রসঙ্গেও আগাম গোয়েন্দা-তথ্য সংগ্রহে জোর দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে কৌশল তৈরি করতে বলা হয়েছে জেলা পুলিশকে। পড়শি রাজ্যগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে নাকা তল্লাশি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। জেলা পুলিশকে মনোজের বার্তা—খুনের কিছু ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র বা বোমার ব্যবহার করেছে দুষ্কৃতীরা। ফলে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধারে নিয়মিত সক্রিয় থাকতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement