লালবাগে সেই নির্মীয়মাণ হোটেল। নিজস্ব চিত্র
মুর্শিদাবাদের এস্টেটের জমিতে হোটেল নির্মাণের কাজ চলছে তাঁর। বছর খানেক ধরে ধীরে ধীরে তিনতলা সেই ‘প্রাসাদ’ গড়ে উঠলেও তা নজরে আসেনি মুর্শিদাবাদ এস্টেট কর্তৃপক্ষের। মাথা ঘামায়নি স্থানীয় পুরসভাও। গত শুক্রবার আচমকা নড়েচড়ে বসলেন এস্টেট কর্তৃপক্ষ। তড়ি ঘড়ি নোটিস ধরানো হল, শিখা সেন’কে। ঘটনাচক্রে যিনি নারদা কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে ধৃত আইপিএস অফিসার সৈয়দ মির্জার শাশুড়ি।
এখন পদক্ষেপ করার কথাও বলছে মুর্শিদাবাদ পুরসভা। পুরপ্রধান বিপ্লব চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ এস্টেট কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে যদি জানায় যে এস্টেটের জমি জখল করে হোটেল নির্মাণ চলছে, তাহলে পৌর-আইন মেনে ওই হোটেল ভেঙে দেওয়া হবে।’’ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হোটেলের র্নিমাণ কাজ শুরুর আগে অনুমোদনের জন্য কোনও নকশা জমা দেয়নি পুরসভায়। ফলে অনুমোদনহীন নকশা ছাড়াই ওই হোটেল নির্মাণের কাজ চলছে, যা বেআইনি। একই সুরে মুর্শিদাবাদ এস্টেট ম্যানেজার শুভদীপ গোস্বামী বলছেন, ‘‘ওই হোটেল বানানোর জন্য আমাদের তরফ থেকেও কোনও নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নেয়নি। তাই ওটা অবৈধ।’’ তবে এস্টেট ম্যানেজার ব্যক্তিগত কাজে বাইরে রয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘‘সোমবার অফিসে যোগ দেব। তার আগে দফতরের কর্মীদের বলেছি ওই হোটেল সংক্রান্ত ফাইল তৈরি করে রাখতে বলেছি। তবে ওই হোটেল নির্মাণের কোনও কোনও অনুমতি দিইনি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য পুরসভাকে চিঠি দিয়ে জানাব।’’