Howrah

হাওড়ায় আসন পুনর্বিন্যাসের পরেই হতে পারে পুরভোট

হাওড়া পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডকে ভেঙে ৬৬টি করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ৪৪ থেকে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডকে আগে ভাঙা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২২ ১৪:০৭
Share:

হাও়ড়া পুরসভা

আসন পুনর্বিন্যাসের পরেই হাও়ড়ায় পুরভোট করানোর পক্ষপাতী পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বর্তমানে যে ৫০টি ওয়ার্ড রয়েছে, সেগুলি ভেঙে ছোট করতে হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই সংখ্যা হবে ৬৬। মূলত হাওড়ায় যে সব বড় ওয়ার্ড উন্নয়নের মাপকাঠিতে পিছিয়ে, সেগুলিকে ভেঙে ছোট করা হবে, যাতে সরকারি সুযোগ-সুবিধার সমবণ্টন সম্ভব হয়। এ ছাড়াও ওয়ার্ড ভাঙার প্রশ্নে প্রাধান্য পাবে জনসংখ্যার বিষয়টি। এই শহরে জনঘনত্বের কারণে এমন বহু ওয়ার্ড রয়েছে, যেখানে জনসংখ্যা অনেক বেশি। মোট চারটি বিধানসভা এলাকা নিয়ে হাওড়া পুর নিগম। হাওড়া উত্তর, মধ্য, দক্ষিণ ও শিবপুর বিধানসভার অন্তর্গত পুরসভায় মোট ৫০টি ওয়ার্ড রয়েছে।

Advertisement

হাওড়ার ৫০টি ওয়ার্ডকে ভেঙে ৬৬টি করার ক্ষেত্রে ৪৪ থেকে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডগুলি আগে ভাঙা হবে। তার পর জনঘনত্ব বিচার করে বাকি ওয়ার্ডগুলির পুর্নবিন্যাস করা হবে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাবিত হতে পারে শিবপুর বিধানসভা। বর্তমানে ১০টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ওই বিধানসভা। ওই বিধানসভার অন্তর্গত ওয়ার্ডগুলিকে ভেঙে দ্বিগুণ করা হতে পারে। এই কাজ সম্পন্ন হয়ে হয়ে গেলে পুজোর ছুটির পরেই হাওড়া পুরসভার নির্বাচন করতে চাইছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই হাওড়া জেলা প্রশাসনের কাছে এই মর্মে নির্দেশিকা এসেছে। হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ডের সীমানা পুনর্বিন্যাসের রিপোর্ট জেলাশাসকের কাছে জমা পড়বে।

ওয়ার্ডের সীমানা পুনর্বিন্যাসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) সৌমেন রায়কে। এ ছাড়াও গোটা প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধানে থাকবেন হাওড়া সদরের মহকুমা শাসক তরুণ ভট্টাচার্য। মূলত ওয়ার্ড ভেঙে পৃথক করার জন্য সমীক্ষা ও প্রশাসনিক কাজের তুত্ত্বাবধান করবেন জেলাশাসক। ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের উপস্থিতিতে এ নিয়ে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। কারণ বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। তাই সময় নিয়ে আধিকারিকদের এই কাজ করতে বলেছে কমিশন। পুনর্বিন্যাসের পাশাপাশি, সংরক্ষণের নতুন তালিকাও প্রকাশ করবে কমিশন।

Advertisement

তবে পুর্নবিন্যাসের কাজ হয়ে গেলেও, পুজোর পর ভোট করানো নিয়ে সন্দিহান রাজ্য সরকার। গত বছর নভেম্বর মাসে হাওড়া থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করার প্রস্তাবে বিধানসভায় বিল পাশ করা হলেও, প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তা আটকে দিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন পাঠিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের কাছে। সেই জবাব না মেলায় তিনি হাওড়া বিলে সায় দেননি। ফলে ২০১৮ সাল থেকে আটকে রয়েছে হাওড়া পুরসভার নির্বাচন। ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বিলে স্বাক্ষর করলেই ভোটের জন্য প্রস্তুতি নেবে কমিশন। তার আগেই পুর্নবিন্যাসের কাজ শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement