ফাইল চিত্র।
৫৪ বছর ধরে বিরোধী দলের নেতাকে পিএসি চেয়ারম্যান নিযুক্ত করার ঐতিহ্য রয়েছে। কিন্তু মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান করায় সেই ঐতিহ্য ভঙ্গ হয়েছে এই মর্মে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিল বিজেপি। মঙ্গলবার সেই মামলারই শুনানি ছিল। কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে বেলা ১২টার কিছু আগে শুরু হয় এই মামলার শুনানি।
শুরুতেই কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়ের আইনজীবী বিএস বৈদ্যনাথন সওয়াল শুরু করেন। তিনি জানান, তৃণমূলে এসে সরকারি ভাবে বিজেপি থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগেই মুকুল রায়কে চেয়ারম্যান করা হয়। এটা সংবিধানের দশম তফসিল লঙ্ঘন করে। এতে ৫৪ বছর ধরে বিরোধী দলের নেতাকে পিএসি চেয়ারম্যান করার ঐতিহ্যও লঙ্ঘিত হয়েছে বলে জানান তিনি। সরকার পক্ষের আইনজীবী এ দিন কোনও সওয়াল করেননি। সমস্ত সওয়াল-জবাবের পর আগামী ৬ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি। তার আগে মুকুল রায় এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই সংক্রান্ত হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
শুনানির জন্য আরও একদিন ধার্য করার বিরোধিতা করেন আইনজীবী বৈদ্যনাথন। তিনি বলেন, “মণিপুর বিধানসভা মামলায় এই ধরনের আবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। এই ভাবে মামলার শুনানি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা যাবে না।”
দলত্যাগী মুকুল রায়কে রাজ্য বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় এ বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন।
তাঁর আবেদনে বিজেপি বিধায়ক জানতে চেয়েছিলেন, দলত্যাগী মুকুল রায়কে কী ভাবে পিএসসি-র চেয়ারম্যান করা হল? মুকুল বিজেপি-র মনোনীত প্রতিনিধি নন। তা হলে তাঁকে কী ভাবে বিজেপি মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে তুল্ ধরা হল তাঁকে? অম্বিকার দাবি, সংসদীয় এবং পরিষদীয় প্রথা অনুযায়ী পিএসি-র চেয়ারম্যানের পদ বিরোধী দলের প্রাপ্য। কিন্তু সেই প্রথা অগ্রাহ্য করে যে ভাবে মুকুলকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে,তা বেআইনি। তাই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তিনি।