পথে: কৃষ্ণনগরের শ্যামপুরে গাঁধী সঙ্কল্প যাত্রায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়। ছবি: প্রণব দেবনাথ
বিজেপির সংকল্প যাত্রার সূচনা করতে নদিয়ার আমঘাটায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে বিঁধলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, ‘‘এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্র ধ্বংস করছেন। গাঁধীজির আদর্শে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই গণতন্ত্রকে হত্যা করছেন উনি।’’
গাঁধীজির জন্মের সার্ধশতবর্ষে নদিয়া জেলায় বিজেপির সংকল্প যাত্রা কর্মসূচির সূচনা পর্বে আমঘাটায় এ দিন মুকুল রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির নদিয়া উত্তর জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার, কল্যাণ চৌবে প্রমুখ। সংকল্প যাত্রা আমঘাটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পথ ঘুরে ধুবলিয়া হয়ে কৃষ্ণনগরে পৌঁছয়। সেখানে বিজেপির নদিয়া দক্ষিণের সভাপতি মানবেন্দ্রনাথ রায়ের নিগ্রহ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগকে অবশ্য বিশেষ আমল দেননি মুকুল। তিনি বলেন, “বিজেপি এখন বাড়ছে। দলের আয়তন বৃদ্ধির সময় এমন ঘটনা ঘটে। তৃণমূলে এমন ঘটনা রোজ ঘটেছে। বিজেপি এ সব সামলে নেবে এবং জেলার সতেরোটি আসনই জিতবে।”
যদিও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দল কী ব্যবস্থা নেবে, সে প্রসঙ্গটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এড়িয়ে যান মুকুল।
তবে মুকুল এ দিন দাবি করেন, তৃণমূল সরকারের জমানায় বিরোধীদের কোনও নিরাপত্তা নেই। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল ছাড়া এ রাজ্যে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীদের নিরাপত্তা নেই। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখাতে পারেন, বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলির কর্মীদের নিরাপত্তা আছে, তাহলে আমি আজই রাজনীতি ছেড়ে দেব।’’
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে তৃণমূল মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলেও অভিয়োগ করেছেন মুকুল। তিনি বলেন, ‘‘২০২৪ সালের মধ্যে গোটা দেশে নাগরিকপঞ্জি চালু হবে। সমস্ত শরণার্থীকে ভারত জায়গা দেবে, কিন্তু অনুপ্রবেশকারীদের জায়গা হবে না।”
নৈহাটি, বনগাঁ— একের পর এক পুরসভা বিজেপির হাতছাড়া হওয়ার পর খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ভাটপাড়া দখলের দাবি উড়িয়ে মুকুল রায় বলেন, ‘‘নিজস্ব কাউন্সিলর থাকা সত্ত্বেও সবক’টি পুরসভা এলাকায় গত ভোটে হেরেছে তৃণমূল। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হাবড়ায় হারার ভয়ে অন্য জায়গা খুঁজে বেড়াচ্ছেন।’’
পাশাপাশি, কার্নিভাল বিতর্কে মুকুলের মন্তব্য, “কেনই বা ডাকা হল আর কেনই বা অপমান করা হল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান কে?”