রাজ্য নির্বাচন কমিশনে মুকুল রায়। —নিজস্ব চিত্র।
পুর নির্বাচন এগিয়ে এনে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে তৃণমূল। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট হলে, বিরোধীরা প্রচারের সময়ই পাবে না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই ভোট এগিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের সঙ্গে দেখা করে। পরে সাংবাদিকদের মুকুল রায় বলেন, “মার্চে বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা শেষ হচ্ছে। তার পর এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট হলে, প্রচারের সময় পাবে না বিরোধী দলগুলি। তাই পুর ভোট পিছনোর দাবি জানানো হয়েছে।” ওই প্রতিনিধি দলে মুকুল রায় ছাড়াও ছিলেন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া এবং জয়প্রকাশ মজুমদার।
এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভার ভোট করাতে চায় রাজ্য। বাকি পুরসভাগুলি এপ্রিলের শেষে হওয়ার কথা। তা নিয়ে কমিশনকে চিঠি পাঠাতে চলেছে রাজ্য। যদিও এখনও পর্যন্ত কবে, কত দফায়, ব্যালটে নাকি ইভিএম-এ ভোট হবে, সে বিষয়ে কমিশন এবং রাজ্যের মধ্যে কোনও আলোচনা হয়নি বলেই সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে এগিয়ে নির্দল ও বামেরাই, ইঞ্জিনিয়ারিং-এ চমক এবিভিপির
মোবাইল নিয়ে ঢুকে ধৃত এক পরীক্ষার্থী
বিজেপির দাবি, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হচ্ছে আগামী ২৭ মার্চ। সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ডেরও পরীক্ষাও রয়েছে মার্চ মাসে। ফলে এপ্রিলের ১২-১৩ তারিখ নাগাদ ভোট হলে মাইক নিয়ে প্রচার করা সম্ভব হবে না। গেরুযা শিবিরের অভিযোগ, ভয় পেয়েই ভোট এগিয়ে আনছে তৃণমূল। হাইকোর্টের একটি মামলার উল্লেখ করে এ দিন মুকুল রায় বলেন, “আদালতও বলেছে, প্রচারের জন্য সময় দেওয়া দরকার। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। মাত্র ১০-১২ দিনের ব্যবধানে ভোটের প্রচার করা সম্ভব নয়? ভোট করতে হলে প্রচারের জন্যে অন্তত ২০ থেকে ২৫ দিন সময় দেওয়া দরকার। তা পাবে না বিরোধীরা।”
কবে ভোট হতে চলেছে এ বিষয়ে অবশ্য কমিশনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এ দিন এক আধিকারিক বলেন, “সময় এলেই জানতে পারবেন। রাজ্য এখনও কোনও চিঠি দেয়নি।”