বাবুল সুপ্রিয় ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি।
আসানসোলের ভোটার হলেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির প্রকাশ করা ভোটার তালিকায় স্ত্রী রচনা শর্মা ও বাবুলের নাম উঠেছে। আসানসোলের ভোটার তালিকায় নাম ওঠার পর প্রতিক্রিয়া দিয়ে বাবুল জানিয়েছেন, এর আগে ভোটের সময় তাঁকে সেখানে থাকতে দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত আসানসোল পুর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে ভোটার তালিকায় নাম ওঠায় তিনি, তাঁর পরিবার ও বিজেপি কর্মীরা খুশি।
২০১৪ সালে বাবুল সুপ্রিয় যখন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সংসদে যান তখন তিনি উত্তর কলকাতার ভোটার ছিলেন। তারপর এত দিন পর্যন্ত আসানসোলের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। নাম না থাকায় আসানসোল পুরনিগম এবং বিধানসভা নির্বাচনের সময় তাঁকে সেখানে থাকতে দেওয়া হয়নি। ভোটের সময় তাঁকে শহর ছাড়তে বলা হয় প্রশাসনের তরফে।
আসানসোলের ভোটার তালিকায় বাবুল সুপ্রিয়র নাম। নিজস্ব চিত্র।
এত দিন পর অবশেষে আসানসোলের ভোটার হওয়ায় খুশি বাবুল বলেন, “প্রথমত, আমি আসানসোলের সাংসদ এবং আসানসোলের সঙ্গে মনেপ্রাণে জড়িয়ে গিয়েছি। তাই আসানসোলের ভোটার হওয়াই ভাল। দ্বিতীয়ত, এর আগে যত বারই আমি ভোটের সময়ে নিজের কেন্দ্রে থাকার চেষ্টা করেছি, নোংরামি করে আমাকে আটকে দেওয়া হয়েছে। আমি আসানসোলের ভোটার নই, এই অজুহাত দেখিয়ে আমাকে আটকানো হয়েছে। তাই মানুষের স্বীকৃতির পাশাপাশি এই কাগুজে স্বীকৃতিটাও জরুরি ছিল। সর্বোপরি আসানসোলের ভোটার তালিকায় আমার ও আমার পরিবারের নাম ওঠায় বিজেপির স্থানীয় কার্যকর্তারাও খুব খুশি।”
আরও পড়ুন: আসানসোল ডিভিশনে শুরু হতে চলেছে প্যাসেঞ্জার ট্রেন
আরও পড়ুন: নীলবাড়ির লড়াইয়ে পদ্মের পাঁচ নেতা, বাঙালিতে অনাস্থা, কটাক্ষ তৃণমূলের
বাবুল প্রথমবার যখন লোকসভা প্রার্থী হয়েছিলেন তখনই আসানসোলের মহিশীলা কলোনি বটতলা বাজারে প্রথমা নামের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভাড়ায় থাকতেন। পরে ফ্ল্যাটটি কিনে নেন। ২০১৯ সালে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তাঁর সম্পত্তির তালিকায় আসানসোল পুরনিগমের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের এই ফ্ল্যাটের উল্লেখ ছিল। এ বার সেই ঠিকানার ভোটার হলেন বাবুল।