অর্জুন সিংহ। — ফাইল চিত্র।
আতশবাজির কারখানার আড়ালে আসলে চলে বোমা তৈরি। এর সঙ্গে যুক্ত পুলিশের একাংশ। সংবাদমাধ্যমে এই দাবিই করলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। দত্তপুকুরের মোচপোলে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর আঙুল উঠেছিল রাজ্য সরকারের দিকে। সেই দায়ই এড়িয়ে গেলেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া অর্জুন। তাঁর প্রশ্ন, পুলিশ কেন নেতাদের কথা শুনবে? তারা চাইলে এক মিনিটে বন্ধ করে দিতে পারে বাজি কারখানা।
গত রবিবার সকালে মোচপোলের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে মারা গিয়েছেন ন’জন। অর্জুনের দাবি, ‘‘আতশবাজির আড়ালে বোম তৈরি হয়। আতশবাজি এখন ক’জন কেনে? দীপাবলিতেও কমে গিয়েছে।’’ তিনি এ-ও বলেন, ‘‘যাঁরা বলছেন আলু বোম তৈরি হয়, তাঁরা বাজে কথা বলছেন। ১০ শতাংশ আলু বোম তৈরি ৯০ শতাংশ বোম তৈরি হয়।’’ অর্জুনের আরও দাবি, এ সব হয় পুলিশের কারণেই। এই ঘটনায় পুলিশের উপরই দায় চাপালেন অর্জুন। তিনি বলেন, ‘‘যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিচ্ছেন, ডিজি বলছেন, সেখানে বাজি তৈরি হলে তার দোষ পুলিশেরই। সংবাদমাধ্যমের সামনেই গ্রামের লোক পুলিশকে গালি দিচ্ছে।’’
মোচপোলে বিস্ফোরণের পর স্থানীয়েরা শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের দিকেও আঙুল তুলেছেন। দাবি করেছেন, বাজি কারখানার নেপথ্যে রয়েছে নেতা-মন্ত্রীদের ইন্ধন। এই প্রসঙ্গে অর্জুনের প্রশ্ন, রাজনীতিকরা অনুমতি চাইলে পুলিশ শুনবে কেন? পুলিশ কেন ডিজিকে রিপোর্ট দেয় না যে, তাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে? সাধারণ মানুষকে রক্ষার অধিকার রয়েছে পুলিশের। তাই তাদের দায় বেশি। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশ কঠিন হলে, রাস্তায় বেআইনি দোকানও বসানো যাবে না। পুলিশ সব কিছুই পারে। কিন্তু করে না।’’
অর্জুন এ-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন, দত্তপুকুরের বিস্ফোরণের পরেই আইসিকে সাসপেন্ড করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, এ সব করছে অসাধু শক্তি। নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছেন। আর সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। তিনি এও স্বীকার করেছেন যে, শাসকদলের কিছু লোক নিজের স্বার্থে দলকে বদনাম করছেন।