(বাঁ দিকে) অর্জুন সিংহ। সোমনাথ শ্যাম (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ব্যারাকপুরের দ্বন্দ্বের মধ্যেই দলের কোর কমিটির বৈঠকে হাজির হলেন অর্জুন সিংহ ও সোমনাথ শ্যাম। সোমবার মধ্যমগ্রামের পার্টি অফিসে বসেছিল এই বৈঠক। সেই বৈঠকে যোগদান করলেন তাঁরা। তবে বজায় রইল দূরত্ব। বৈঠকে উপস্থিত এক নেতার কথায়, বৈঠকে এলেও পরস্পরের থেকে অনেকটাই দূরে বসেছিলেন অর্জুন-সোমনাথ। এমনকি, পরস্পরের সঙ্গে কথাও বলেননি তাঁরা।
গত কয়েক মাস ধরে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিবৃতি, পাল্টা বিবৃতি দিয়েই সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন তৃণমূলের এই দুই নেতা। এমনকি, ভাটপাড়ায় দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় সরাসরি ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুনের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছেন জগদ্দল বিধায়ক। দুই নেতার যুদ্ধ থামাতে ৩০ ডিসেম্বর নৈহাটি পুরসভায় বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। সাংসদ অর্জুন ও সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ওই বৈঠকে পৌঁছলেও, যাননি সোমনাথ ও বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। তাই রাজ্য সভাপতির উদ্যোগ সফল হয়নি। ২৮ ডিসেম্বর দেগঙ্গার জনসভায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের কোর কমিটি গঠন করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে দলীয় কার্যালয়ে প্রথমে আসেন সাংসদ অর্জুন। সকলের মনেই প্রশ্ন উঠছিল, এই বৈঠকও কি এড়িয়ে যাবেন বিধায়ক সোমনাথ? কিন্তু তার কিছু ক্ষণ পরে এসে বৈঠকে যোগদান করে তিনিও।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জগদ্দল বিধায়কের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাংসদ অর্জুন বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্বই নেই।’’ এমনটা জানিয়ে গাড়িতে উঠে রওনা দেন তিনি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সরাসরি কিছু না বলেও ঘুরপথে নিশানা করেন ব্যারাকপুরের সাংসদকে। সোমনাথ বলেন, ‘‘আমি দলের জোড়ফুল প্রতীকে জেতা বিধায়ক। আমি স্বীকৃত তৃণমূল। তাই আমার যা বলার দলকে বলব, অন্য কোথাও নয়।’’ প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাসে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন অর্জুন। খাতায় কলমে এখনও তিনি বিজেপির সাংসদ। সে কথাই ইঙ্গিতে বোঝাতে চাইলেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক।