সিঙ্গুরের কাজের জন্য ইনাম সরকারি কর্মীদের

ইনাম মিলবে ১০ হাজার টাকা! উৎসবের মরসুমে উদয়াস্ত কাজ করেছে‌ন সরকারি কর্মীরা। ছুটি-ছাটা শিকেয় উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্ধারিত সময়ে সিঙ্গুরের জমি চাষিদের ফিরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্য। সেই মতো সরকারি নির্দেশে এখনও কাজ করে চলেছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:৩৭
Share:

সরকারি কর্মীদের কাজ পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার সিঙ্গুরের খাসেরভেড়িতে। — নিজস্ব চিত্র

ইনাম মিলবে ১০ হাজার টাকা!

Advertisement

উৎসবের মরসুমে উদয়াস্ত কাজ করেছে‌ন সরকারি কর্মীরা। ছুটি-ছাটা শিকেয় উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্ধারিত সময়ে সিঙ্গুরের জমি চাষিদের ফিরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্য। সেই মতো সরকারি নির্দেশে এখনও কাজ করে চলেছেন তাঁরা।

বুধবার সিঙ্গুরের খাসেরভেড়িতে এসে এই সব সরকারি কর্মীদের জন্য পুরস্কারের কথা ঘোষণা করে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘যাঁরা এই ঐতিহাসিক কাজের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করেছেন, তাঁদের নাম লেখা থাকবে। পুজোর দিনগুলিতে বহু সরকারি কর্মীকে মাঠে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়েছে। ছুটি পাননি তাঁরা।’’ মমতার কথায়, ‘‘অনেক সময়ে অনেককে বকাবকিও করতে হয়েছে। একটা বড় কাজে এ সব হয়।’’ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘যাঁরা পুজোর দিনগুলিতে কাজ করেছেন, আমি ১০ হাজার টাকা করে তাঁদের পুরস্কার দেবো।’’ পুলিশ কনস্টেবলরাও এই টাকা পাবেন বলে জানান তিনি। এমনকী, পুজোয় বকেয়া ছুটিও ওই সরকারি কর্মীরা পাবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন অপ্রত্যাশিত ঘোষণায় রীতিমতো উচ্ছ্বসিত উপস্থিত সরকারি কর্মীরা। এক প্রবীণ সরকারি কর্মীর কথায়, ‘‘পুজোর ছুটিতে একটা দিনও পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারিনি। নিঃশ্বাস ফেলার সময় ছিল না। সে সব কাজের এটুকু স্বীকৃতি মিলল, এতে আমরা সত্যি খুশি।’’

Advertisement

এ দিন সিঙ্গুরের রতনপুরে যান মুখ্যমন্ত্রী। হরিপালের বিধায়ক তথা সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম মুখ বেচারাম মান্নার জগদ্ধাত্রী পুজো হয় সেখানেই। মণ্ডপে কিছুটা সময় কাটিয়ে নবান্নের পথ ধরেন মমতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। হুগলির পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী, জেলাশাসক সঞ্জয় বনশালেরাও ছিলেন। এখনও যে সব জমির মালিকের হদিস মেলেনি, সেই জমি চিহ্নিত করে ঘিরে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে কোনও দাবিদার এলে তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। না হলে সরকার সেই জমি ‘ভাল কোনও কাজে’ লাগাবে বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement