ছবি: সংগৃহীত।
গণপ্রহার প্রতিরোধে রাজ্যের নতুন আইন নিয়ে বিধানসভার ব্যাখ্যা চাইলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজভবন থেকে বুধবার এই বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বিধানসভার সচিবের কাছে। তবে পাশ হয়ে যাওয়া বিল নিয়ে রাজ্যপালের এই ‘সক্রিয়তা’য় অসন্তুষ্ট বিধানসভা।
সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ মেনে গণপ্রহার ঠেকাতে গত অগস্টে বিল পাশ হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। কিন্তু ওই বিল পাশের সময়ই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। একই নাম ও একই মেমো নম্বরের দু’টি বিল বিলি হওয়ায় তখনই তা নিয়ে আপত্তি তুলেছিল বিরোধীরা। শুধু তা-ই নয়, দ্বিতীয় বারে বিলি হওয়া বিলটিতে গণপ্রহারে মৃত্যুর ক্ষেত্রে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে প্রাণদণ্ডের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বিরোধীদের সেই প্রশ্ন এড়িয়েই বিলটি পাশ করার পক্ষে সওয়াল করে শাসক শিবির। ওই বিল সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেই মঙ্গলবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তার পরেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল রাজভবনের তরফে। পরের দিনই বিধানসভার সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিধানসভার তরফে রাজ্যপালের কাছে এই আইন সম্পর্কিত ‘ব্যাখ্যা’ পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, বিল পাশের দিনই বিরোধীদের প্রশ্ন প্রয়োজনীয় ‘ব্যাখ্যা’-সহ খারিজ করে দিয়েছিলেন স্পিকার। তা-ই রাজ্যপালকে জানানো হবে।
রাজ্যপালের এই ‘সক্রিয়তা’য় অবশ্য ‘নজর’ রয়েছে বিধানসভারও। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘রাজ্যপাল পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু আইনসভাও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। রাজ্যপাল নিশ্চয়ই দু’টি সাংবিধানিক সংস্থার মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। বিধানসভা নিজের নিয়মরীতির মধ্যেই তার কাজ করে এবং করবে।’’ আর বাম পরিষদীয় নেতা সুজনবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমরা রাজ্যপালের নজরে এনেছিলাম বিষয়টা। তার পরে তিনি কী করবেন, তাঁর ব্যাপার।’’