বাইরন বিশ্বাস। —ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পর এই প্রথম বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। বুধবার বিধানসভার বাদল অধিবেশনের তৃতীয় দিনে শেষের দিকে আসেন তিনি। এসেই প্রশ্নের মুখে পড়েন বাইরন। প্রশ্ন করা হয়, প্রথম বার বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিয়ে কেমন লাগছে? প্রশ্নের জবাবে সাগরদিঘির বিধায়ক বলেন, ‘‘প্রথমবার অধিবেশনে যোগ দিয়ে ভাল লাগছে। দলের যারা বরিষ্ঠ নেতৃত্ব রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ওঁরা আমাকে সব বিষয়ে সাহায্য করবেন। আমার এলাকা নিয়ে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে, সেই বিষয়গুলি মূলত তুলে ধরব আগামী দিনে।’’ পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাগরদিঘির ফলাফল নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বাইরনকে। তিনি বলেন, ‘‘আমার বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের ফলাফল যথেষ্ট ভাল হয়েছে। আমি যে ১১টি অঞ্চল নিয়ে কংগ্রেসে গিয়েছিলাম তার মধ্যে ১০টি অঞ্চলে তৃণমূল জিতে গিয়েছে। যে একটি অঞ্চল বাকি রয়েছে সেইটি শীঘ্রই তৃণমূলে নিয়ে আসব।’’
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে মারা যান সাগরদিঘির বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। চলতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘির উপনির্বাচন হয়। ২ মার্চ উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বাইরন। কিন্তু জুন মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রা ঘাটাল পৌঁছলে সেখানে গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন বাইরন। তাঁর তৃণমূলে যোগদানের আগে পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশন হয়নি। শাসকদলে যোগদানের পর জুলাই মাসের ২৪ তারিখ থেকে বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হলে, তৃতীয় দিনের অধিবেশনে যোগ দিলেন তিনি। বাইরন জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় এলে তাঁর সঙ্গে নিজের বিধানসভা এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে কথা বলতে চান।