—প্রতীকী চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র জেরে রাজ্যে দুর্ভোগ অব্যাহত। তার মধ্যেই প্রাণ গেল এক নাবালকের। ঝড়বৃষ্টির সময় ভেঙে পড়া গাছ সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের শ্রীধর নগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম শুভজিৎ দাস (১৭)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে প্রবল ঝড়ের সময় শুভজিতের বাড়ির ছাদে একটি গাছ ভেঙে পড়েছিল। শুক্রবার সকালে ছাদ থেকে সেই গাছ সরাতে গিয়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তার। ভেঙে পড়া গাছের সঙ্গে বিদ্যুতের তারও জড়িয়ে ছিল। ওই তার খেয়াল করেনি শুভজিৎ। গাছের ডাল ধরে টানার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে আসায় তড়িদাহত হয় শুভজিৎ। পরিবার এবং পড়শিরা নাবালককে তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় নাবালকের।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’ বৃহস্পতিবার রাতে আছড়ে পড়েছে ওড়িশার উপকূলে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া চলেছে। যার জেরে দিনভর দফায় দফায় বৃষ্টি উপকূলবর্তী এলাকায়। বহু জায়গায় ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। ভেসে গিয়েছে চাষের জমি। তবে যতটা আশঙ্কা ছিল, ‘ডেনা’র প্রভাবে ততটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কোনও শৈথিল্য রাখতে চাইছে না নবান্ন। শুক্রবার দুপুরে রাজ্য প্রশাসনের এই মনোভাবের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে সংশ্লিষ্ট জেলার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি। সেখানে বসেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। সামগ্রিক ভাবে গোটা রাজ্যের জন্যই প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাধিক নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ ভাবে নজর দিতে বলেন উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিস্থিতির উপরে।