কোনও কলেজের মেধা-তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও কোনও পড়ুয়া যদি সেখানে ভর্তি হতে না পারেন, তা হলে তাঁকে সেখানে ভর্তি করানোর দায়িত্ব নেবেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভায় বৃহস্পতিবার বিরোধী শিবিরের অভিযোগের জবাবে এই আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী স্বয়ং।
মেধা-তালিকাকে উপেক্ষা করে টাকার বিনিময়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ভর্তির অভিযোগ বাড়তে থাকায় তৃণমূল জমানার প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্বচ্ছতার স্বার্থে কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ভর্তি চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগী হন। কিন্তু তার অব্যবহিত পরেই তাঁকে দফতর বদলে পর্যটন মন্ত্রী করে দেওয়া হয়। কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে মেধাকে গুরুত্ব না দিয়ে আর্থিক দুর্নীতি করার অভিযোগও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বিধানসভায় এ দিন কনিষ্ঠ বিধায়ক সিপিএমের ইব্রাহিম আলি শিক্ষা বাজেটের উপর বিতর্কে অংশগ্রহণ করে ওই দুর্নীতির প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন, গ্রামের হাজার হাজার মেধা সম্পন্ন ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন কলেজে মেধা-তালিকায় স্থান পেয়েও ভর্তি হতে পারছে না। এর পর জবাবি ভাষণে পার্থবাবু বলেন, ‘‘মেধাভিত্তিক ভর্তির সূচনা আমরাই করেছি। কারা সেই মেধাবী ছাত্রছাত্রী, যাঁদের নাম মেধা তালিকায় থাকা সত্ত্বেও কলেজ ভর্তি নেয়নি? দয়া করে তাঁদের নাম আমাকে দেবেন। অন্তত ১০টা এ রকম ঘটনা দিন। আমি তাঁদের ভর্তির ব্যবস্থা করে দেব।’’
পরে বিধানসভা চত্বরে নিজের কক্ষে পার্থবাবু বলেন, ‘‘মেধা বাদ দিয়ে ভর্তি আমরা বরদাস্ত করব না। যাঁদের অন্যায় ভাবে বঞ্চিত করার কথা বলা হচ্ছে, তাঁরা সময়মতো আবেদন করে থাকলে তাঁদের ভর্তির ব্যবস্থা আমি করব।’’ মন্ত্রী আরও জানান, মেধাভিত্তিক ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোনও অনিয়ম হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে ভর্তি শেষ হলে কলেজগুলির কাছ থেকে তালিকা চাওয়া হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে কোনও দুর্নীতি কড়া হাতে দমন করা হবে। বিধানসভায় জবাবি ভাষণে পার্থবাবু অভিযোগ করেন, বাম জমানায় গুরুত্ব না দিয়ে স্বজনপোষণের ভিত্তিতে পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের সরকার শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতার বিষয়ে কোনও আপস করবে না।