নিহত জওয়ানের বাড়িতে স্বপন দেবনাথ। নিজস্ব চিত্র
নিহত জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মাওবাদী কার্যকলাপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। নিহত সিআইএসএফ জওয়ান দীনাঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী মিতাদেবীও মনে করেন, সরকার মাওবাদী সমস্যা মেটাতে যথেষ্ট তৎপর নয়। সে কারণেই তাঁদের মতো সাধারণ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে।
ছত্তীসগঢ়ের দন্তেওয়াড়ায় কর্মরত ছিলেন বর্ধমানের ইছালাবাদের বাসিন্দা দীনাঙ্করবাবু। সিআইএসএফের প্রধান কনস্টেবল পদে ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে বাসে চড়ে সিআইএসএফের বাজার করতে গিয়েছিলেন। সেই বাসেই বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। প্রাণ হারান দীনাঙ্করবাবু-সহ পাঁচ জন। সে দিন বিকেল ৩টে নাগাদ মিতাদেবীকে কলকাতার সিআইএসএফ দফতর থেকে স্বামীর মৃত্যুসংবাদ দেওয়া হয়। তার পরেই মিতাদেবী ক্ষোভ প্রকাশ করেন, ‘‘সরকার ইচ্ছে করে মাওবাদী সমস্যা জিইয়ে রেখেছে। এই সমস্যা সরকারের মেটানো উচিত।’’
শনিবার সকালে নিহত জওয়ানের বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে সমবেদনা জানান স্বপনবাবু। তার পরেই তিনি বলেন, ‘‘মাওবাদী সমস্যা কী ভাবে মোকাবিলা করতে হয়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ রাজ্যকেই মডেল করে অন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মাওবাদীদের মোকাবিলা করা উচিত। তবেই এমন পরিণতি এড়ানো যাবে।’’
দীনাঙ্করবাবুর ছেলে দেবজিৎ ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করছে। এ দিন মন্ত্রী পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা নিহতের পরিজনকে সব রকম সহযোগিতা করব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পূর্ত ও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকেও জানাব। তাঁদের নির্দেশমতো কাজ হবে।’’ মিতাদেবী বলেন, ‘‘মন্ত্রী আমাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন।’’
স্বপনবাবুর মন্তব্য নিয়ে বিজেপি-র জেলা সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘দীনাঙ্করবাবুর মৃত্যুর ঘটনা মর্মান্তিক। দুঃখ প্রকাশের ভাষা নেই। সেই বাড়িতে দাঁড়িয়ে রাজনীতির কথা শোভা পায় না। আর কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যেই মাওবাদী সমস্যা মেটাচ্ছে রাজ্য।’’