ছবি: সংগৃহীত।
জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ছুঁতে চলেছে।
রবিবার চণ্ডীপুরের একটি নার্সিংহোমের এক রোগী ও দুই কর্মীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এ দিন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রও। সে কথা সমাজ মাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন মন্ত্রী। তবে উপসর্গ না থাকায় তিনি রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। কিছু দিন আগেই এগরার প্রবীণ বিধায়ক সমরেশ দাস করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গিয়েছেন।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জেলা সদর তমলুকে আক্রান্তের সংখ্যা ১১১। চণ্ডীপুর ব্রজলালচক গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা এক প্রৌঢ় পেটের যন্ত্রণা নিয়ে দু’সপ্তাহ আগে চণ্ডীপুর বাজারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসার পরেও তাঁর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় এক চিকিৎসকের পরামর্শে তমলুক শহরে তাঁর শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরপর তাঁর অস্ত্রোপচারের সুপারিশ করেন চিকিৎসক। অস্ত্রোপচারের আগে তাঁর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়। নমুনা পরীক্ষায় ওই রোগীর করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসার পর গত মঙ্গলবার তাঁকে চণ্ডীপুরের করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরেই ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা ওই নার্সিংহোমের চিকিৎসক ও কর্মীদের আইসোলেশনে রাখা হয়। তাঁদের করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতায় পাঠানো হয়। শনিবার ওই নার্সিংহোমের দুই কর্মীর করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। দু’জনকেই রবিবার চণ্ডীপুরের করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে তমলুক শহরের বাসিন্দা কলকাতার বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালের একজন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবার তাঁর করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। তবে তাঁর কোনও উপসর্গ নেই বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
এদিন বড়মা কোভিড হাসপাতাল থেকে করোনা মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৩ জন। এদিনই নতুন করে ৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বড়মায়। বর্তমানে বড়মায় চিকিৎসাধীন ৫৯ জন।