সরকারি বাসের হাল দেখতে রাস্তায় নামলেন মন্ত্রী। ছবি: আনন্দবাজার অনলাইন আর্কাইভ।
কলকাতায় সরকারি বাসের হাল দেখতে সোমবার রাস্তায় নামলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। জানিয়ে দেওয়া হল, যাত্রীভোগান্তি কমাতে সোমবার থেকেই বাড়ছে সরকারি বাসের সংখ্যা। এর পরেই প্রশ্ন উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরেই কি ঘুম ভাঙল পরিবহণ দফতরের?
গত ২ জানুয়ারি নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি বাস পরিষেবা নিয়ে তীব্র উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তায় বেরিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দেন মমতা। শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নয়, সাধারণ মানুষও সমাজমাধ্যমে সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন। এর পরেই নড়েচড়ে বসেছে পরিবহণ দফতর। কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিতে সরকারি বাসের বাস্তব চিত্র দেখতে সোমবার রাস্তায় নেমেছেন পরিবহণমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন পরিবহণ দফতরের সচিব সৌমিত্র মোহন। ছিলেন অন্য উচ্চপদস্থ কর্তারাও। স্নেহাশিস বলেন, ‘‘কলকাতা ও শহরতলিতে প্রতি দিন ৩,৩০০ বাসের ট্রিপ চলে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত এক মাসে ট্রিপের সংখ্যা ৮০০-৯০০ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি যে, তা-ও যথেষ্ট নয়। আরও বাস ও ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। আমরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব। সেই কারণেই আমরা শহরের ব্যস্ততম জায়গাগুলিতে ঘুরে ঘুরে বোঝার চেষ্টা করছি যে, কোন রুটে বাসের সংখ্যা বাড়াতে হবে।’’
অন্য দিকে, যাত্রীভোগান্তি কমাতে সোমবার থেকেই ধাপে ধাপে বাস বাড়ছে রাস্তায়। এত দিন ৫৫০টি বাস দিয়ে কলকাতা শহর ও সংলগ্ন এলাকায় ৩,৩০০টি ট্রিপ চলত। এ বার থেকে বাস ও ট্রিপের সংখ্যা বাড়িয়ে তা ৪,১৯৮টি করা হবে। নিউটাউন এলাকায় বাসের ট্রিপ বাড়িয়ে ১৫৬ করা হচ্ছে। যা আগে ছিল ১০৮। এ ছাড়া, রাসবিহারী, গড়িয়াহাট, কালীঘাট, আলিপুর ও এক্সাইড অঞ্চলে সরকারি বাস পরিষেবায় বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকাগুলিতে মোট ২৪টি বিশেষ ট্রিপের আয়োজন করা হয়েছে।