সম্মেলন শুরুর আগে হলদিয়ার দুর্গাচকে সিপিএমের মিছিল। আরিফ ইকবাল খানের তোলা ছবি।
লোকাল কমিটি জুড়ে কমিয়ে দেওয়া হলেও দু’ভাগে ভাগ করা হল সিপিএমের হলদিয়া জোনাল কমিটিকে। রবিবার হলদিয়ার দুর্গাচকে ছায়ানট হলে সিপিএমের হলদিয়া জোনাল কমিটির সম্মেলনে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হলদিয়া উত্তর ও হলদিয়া দক্ষিণ জোনাল কমিটি নামে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। হলদিয়া উত্তর জোনাল কমিটির সম্পাদক হয়েছেন স্বপন দাস এবং হলদিয়া দক্ষিণ জোনাল কমিটির সম্পাদক হয়েছেন শ্যামল মাইতি। হলদিয়া উত্তর জোনাল কমিটি এলাকায় ৫ টি লোকাল কমিটি রয়েছে। তাছাড়াও নতুন এই জোনাল কমিটির ১৭ জন সদস্য হয়েছেন। অন্য দিকে হলদিয়া দক্ষিণ জোনাল কমিটি এলাকায় ১০ টি লোকাল কমিটি রয়েছে। এই লোকাল কমিটি এলাকায় ১৭ জন সদস্য হয়েছেন।
আগে হলদিয়ায় সিপিএমের দুটি জোনাল কমিটি ছিল। কিন্তু সিপিএমের হাল শোচনীয় হওয়ায় বছর পাঁচেক আগে হলদিয়া এবং হলদিয়া-১ জোনাল কমিটিকে জুড়ে দিয়ে হলদিয়া জোনাল কমিটি গড়া হয়েছিল। সে সময় নব গঠিত হলদিয়া জোনাল কমিটিতে ১৭ টি লোকাল কমিটি ও ২৩৭ টি শাখা কমিটি ছিল। এ বার লোকাল কমিটির সম্মেলনে ১৭ টি ে লোকাল কমিটিকে কমিয়ে ১৫ টি করা হয়েছে। বিভিন্ন শাখা কমিটি জুড়ে দিয়ে ২২৮ টি শাখা কমিটি হয়েছে।
হলদিয়ায় লোকাল কমিটি ও শাখা কমিটি জুড়ে কমিয়ে দিলেও জোনাল কমিটি ভেঙে দুটি করা হল কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সিপিএমের পুর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক প্রশান্ত প্রধান বলেন, “কিছু লোকাল কমিটির সদস্য সংখ্যা কম থাকায় এবং সংগঠনগতভাবে দুর্বল হওয়ায় আমরা হলদিয়ায় কয়েকটি লোকাল কমিটি জুড়েছি। আবার হলদিয়া জোনাল এলাকায় অনেক লোকাল কমিটি থাকায় এবং পার্টি সদস্য অনেক থাকায় দুটি জোনাল কমিটি গড়েছি। ১২০০ থেকে ১৪০০ সদস্যর বেশি একটি জোনাল কমিটিতে সদস্য রাখা যাবে না। কিন্তু হলদিয়ায় প্রায় ২৩০০ পার্টি সদস্য। তাই সংগঠনকে শক্ত করতে দুটি জোনাল কমিটি করা হয়েছে।
এ দিন সকাল ১০ টা নাগাদ মঞ্জুশ্রী মোড় থেকে মিছিল সহকারে ছায়ানট হলে যান সিপিএমের নেতা কর্মীরা। ছিলেন সিপিএমের রাজ্য নেতা রবীন দেব, সিপিএমের ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক প্রশান্ত প্রধান, দুই জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্মল জানা, নিরঞ্জন সিহি, রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিংহ প্রমুখ। রাত প্রায় পৌনে আটটা পর্যন্ত সম্মেলন চলে। এ দিন সকালে রবীন দেব সম্মেলনের উদ্বোধন করে বলেন, “দক্ষিণপন্থীরা মানুষের অধিকার গণতন্ত্র কেড়ে নিতে চায়। আমরা বামপন্থীরা মানুষের অধিকার রক্ষার লড়াই করি।” লক্ষ্মণ শেঠ প্রসঙ্গে রবীনবাবু বলেন, “বিচ্যুতি ঘটলে যা পরিণাম হয় তা লক্ষণ শেঠের হয়েছে।”