সিপিএম নেতাকে অপহরণ, নালিশ

নন্দীগ্রামের এক সিপিএম নেতাকে অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে নন্দীগ্রামের মহম্মদপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বিনন্দপুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৩০
Share:

নন্দীগ্রামের এক সিপিএম নেতাকে অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে নন্দীগ্রামের মহম্মদপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বিনন্দপুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

সিপিএমের অভিযোগ, দলের নন্দীগ্রাম জোনাল কমিটির সদস্য তথা স্থানীয় গোপীমোহনপুর প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে মারধর করে এ দিন বিকেলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক। পরিবারের লোকজন সিপিএম জেলা নেতৃত্বকে ঘটনার কথা জানানোর পর নন্দীগ্রাম থানার পুলিশের কাছে ওই সিপিএম নেতাকে অপহরণের অভিযোগ জানানো হয়। খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ ওই সিপিএম নেতার খোঁজে তদন্তে নামে। তবে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর সন্ধান মেলেনি বলে অভিযোগ।

সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিরঞ্জন সিহির অভিযোগ, “দলের জেলা সম্মেলন উপলক্ষে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায় সমাবেশের সমর্থনে বুধবার সকালে পোস্টার লাগানোর ব্যবস্থা করেছিলেন রফিকুল। বিকেলে বাড়ি থেকেই তাঁকে কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক জোর করে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশকে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে।”

Advertisement

নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান অবশ্য অপহরণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “ওই সিপিএম নেতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল নিয়ে দুর্নীতি করায় এলাকার বাসিন্দারা এ দিন তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেছে। সিপিএম নেতাদের অভিযোগ একেবারেই মিথ্যে।”

ঘরে আগুন। আগুনে পুড়ে গেল হলদিয়া টাউনশিপের মোহনা মার্কেটের জেনারেটর ঘর। বুধবার ভোরে বাজারের জেনারেটর ঘরে আগুন দেখে স্থানীয়রাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে দমকল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মোহনা মার্কেট কমিটির সম্পাদক মহম্মদ ফরিদ মোল্লা বলেন, “অ্যাসবেস্টসের দেওয়াল ও ছাউনি দেওয়া ওই জেনারেটর ঘরে এ দিন ভোরে আগুন লাগে। প্রথমে আমরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগাই। পরে দমকল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।” তাঁর দাবি, আগুনে চারটি জেনারেটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেনারেটর সরবরাহকারীরা অবশ্য বিকল্প জেনারেটরের ব্যবস্থা করেছেন। এ দিন ভোরে জেনারেটর বন্ধ ছিল। কীভাবে আগুন লাগল, তা বুঝতে পারছি পারছি না। ঘটনাটি পুলিশকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। হলদিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তমলুকে টাকা ছিনতাই

নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: হোটেল মালিক পরিচয় দিয়ে একটি হোটেল বিক্রির লোভ দেখিয়ে এক দম্পতির কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে পালানোর অভিযোগ উঠেছে একদল ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার রামতারকহাট এলাকায় বুধবার দুপুরের ঘটনা। অভিযোগ পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক থানার রামতারকহাটের কাছে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে একটি খাওয়ার হোটেল রয়েছে। তপন দাস নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ওই হোটেলের মালিক পরিচয় দিয়ে কলকাতার বেহালার বাসিন্দা জয় চক্রবর্তীকে ওই হোটেলটি বিক্রি করার জন্য কথাবার্তা বলেছিলেন। এ নিয়ে চূড়ান্ত চুক্তির জন্য তপন দাস জয়বাবুকে বুধবার ওই হোটেলে আসার জন্য ডেকেছিলেন। সস্ত্রীক জয়বাবু ও তাঁদের পরিচিত তিনজন একটি ট্যাক্সিতে চেপে নগদ ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে বুধবার দুপুরে ওই হোটেলে আসেন। সেখানে আগে থেকে অপেক্ষা করছিলেন তপন দাস। হোটেলে ভিড় থাকার কারণ দেখিয়ে তপনবাবু তাঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য হোটেল থেকে কিছুটা এগিয়ে সড়কের ধারে ডেকে নিয়ে যায়। সেই সময় ট্যাক্সিতে চেপে আসা একদল ব্যক্তি জয়বাবুর কাছে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ওই গাড়ি চেপেই তপন দাসও পালিয়ে যান।

জয়বাবু প্রথমে কোলাঘাট থানায় অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু ঘটনাস্থল তমলুক থানা এলাকায় হওয়ায় খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, তপন দাস নামে ওই হোটেলের মালিক নন। উল্টে ওই হোটেলের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement