মেদিনীপুর শহরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ক্ষুদ্র শিল্প মেলা। ১১-১৬ জানুয়ারি শহরের বিদ্যাসাগর হলের মাঠে এই মেলা হবে। উদ্যোক্তা ‘ইন্ডস্ট্রিয়াল এস্টেট এন্টারপ্রেনিয়ার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন খাসজঙ্গল’। এ বার তৃতীয় বর্ষ। বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান উদ্যোক্তারা। মেলা কমিটির পক্ষে সঞ্জীব রায় বলেন, “সুষ্ঠ ভাবে মেলা আয়োজনের সব রকম চেষ্টা চলছে। আশা করি, এ বারও প্রচুর মানুষ আমাদের এই মেলায় আসবেন।”
মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন খাসজঙ্গলে বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র শিল্প রয়েছে। এক সময় সরকারি উদ্যোগেই এখানে জমি দেওয়া হয়। সেই জমিতে কেউ চকোলেট কারখানা করেছেন। কেউ মশারি কারখানা করেছেন। কেউ আইসক্রিমের বা অন্য কিছুর কারখানা করেছেন। সবমিলিয়ে প্রায় ৩০টি ছোট কারখানা রয়েছে এই খাসজঙ্গলে। বছর কয়েক আগে উদ্যোগপতিরাই ওই অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করেন। এর আগে অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে দু’বার মেদিনীপুর শহরে ক্ষুদ্র শিল্প মেলা হয়েছে। এ বারের মেলায় সবমিলিয়ে প্রায় ৫০টি স্টল থাকবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। তাঁদের বক্তব্য, অনেকেই স্টল দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে সকলে স্টল দিতে পারবেন না। কারণ, মেলার জন্য শহরের কলেজ মাঠ পাওয়া যায়নি। কলেজ মাঠে মেলা হলে সেখানে সকলে স্টল দিতে পারতেন। বিদ্যাসাগর হলের মাঠ আকারে অনেকটা ছোট। তাই সবমিলিয়ে প্রায় ৫০টি স্টল থাকবে এখানে। গত বছর মেলায় প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার সামগ্রী বিক্রি হয়েছিল। এ বার বিক্রির পরিমাণ বাড়বে বলেই আশাবাদী উদ্যোক্তারা।
উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনও। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “এই মেলার ফলে ক্ষুদ্র শিল্প আরও প্রসারিত হবে। ক্ষুদ্র শিল্পের বাজার বাড়বে। উদ্যোগপতিরা আরও উৎসাহিত হবেন।” পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রায় এক লক্ষ মানুষ ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িত। তবে স্থায়ী বাজার না থাকায় শিল্পীদের অনেক সময়ই সমস্যায় পড়তে হয়। আবার সরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণেরও অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ। এর ফলে, সর্বত্র উন্নত মানের সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব হয় না। যা রাজ্যের বাইরে কদর পেতে পারে।