কাঁথি হাসপাতালে রেখা। ছবি: সোহম গুহ।
মাধ্যমিকের তৃতীয় দিন ইতিহাস পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় আহত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রেখা জানার মাথার পেছনের হাড়ে ও শিরদাঁড়ায় সামান্য চিড় ধরা পড়েছে। ডিজিটাল এক্স-রে করিয়ে চিকিত্সকরা এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে রেখা বর্তমানে স্থিতিশীল বলে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী জানান। রবিবার তিনি বলেন, “৩-৪ দিন পরেই রেখাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে সর্ম্পূণ সুস্থ হতে ওকে আরও তিন-চার সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।”
তা হলে কি ৩-৪ সপ্তাহ পরে রেখার পরীক্ষা নেওয়া হবে? পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামুদ হোসেন বলেন, “রেখা সুস্থ হলেই ওর মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।” একই কথা জানান বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী।
গত শুক্রবার জুখিয়া কুমার নারায়ণ বিদ্যাপীঠের দশ পড়ুয়া গাড়ি ভাড়া করে প্রায় চোদ্দ কিলোমিটার দূরে খেজুরির কৃষ্ণনগর হাইস্কুল পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। জরানগরে পথ দুর্ঘটনায় আহত হয় দশ পড়ুয়া। ঘটনাস্থলেই মারা যান গাড়ি চালক। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জখম ৯ পড়ুয়া হেঁড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিত্সার পর পরীক্ষা দিলেও গুরুতর আহত রেখা জানাকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। ওই দিনই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ঘোষণা করেছিলেন, ‘আহত রেখা সুস্থ হলে তার জন্য আলাদা পরীক্ষার বন্দোবস্ত হবে।’
রবিবার কাঁথি হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে রেখা কোনও রকমে জানায়, এখনও তার মাথা ও পিঠে যন্ত্রণা রয়েছে। তার মা মানসী জানা ও বাবা গৌরহরি জানা শুক্রবার থেকেই রেখার সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন। মানসীদেবী বলেন, “এখনও আতঙ্ক কাটেনি মেয়ের।” বাবা গৌরহরি জানা চান যত দ্রুত সম্ভব মেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুক। এ দিন তিনি বলেন, “রেখা সুস্থ হওয়ার পর পরীক্ষা দিতে পারলে ওর বছরটা বেঁচে যাবে।” মুখ্যমন্ত্রীকে এ দিনও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
স্মরণসভা। সবং সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে রবিবার প্রয়াত কথা সাহিত্যিক চিত্তরঞ্জন মাইতির স্মরণে এক সভা হল সবংয়ে। এ দিনই খড়্গপুরের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বিজয়কুমার মালের স্মরণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। নাট্যসংস্থা ‘আলকাপ’ ও বিজয়কুমার মালের পরিবারের উদ্যোগে অনুষ্ঠানটি হয় খড়্গপুরের ট্রাফিক এলাকায় আলকাপের মহলা কক্ষে।