শূন্য থেকে লড়াই শুরু করার ডাক কংগ্রেসের বৈঠকে

লোকসভা ভোট মিটেছে, এবার ফের শূন্য থেকে শুরু করার কথাই উঠে এল কংগ্রেসের নির্বাচনের পর্যালোচনা বৈঠকে। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের গুজরাতি মিত্র মণ্ডপে ও ঝাড়গ্রামে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খড়্গপুরের বৈঠকে মেদিনীপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা এলাকার প্রতিটি ব্লকের কংগ্রেস সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৪ ০১:০৫
Share:

খড়্গপুরে কংগ্রেসের বৈঠকে মানস ভুঁইয়া। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

লোকসভা ভোট মিটেছে, এবার ফের শূন্য থেকে শুরু করার কথাই উঠে এল কংগ্রেসের নির্বাচনের পর্যালোচনা বৈঠকে। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের গুজরাতি মিত্র মণ্ডপে ও ঝাড়গ্রামে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খড়্গপুরের বৈঠকে মেদিনীপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা এলাকার প্রতিটি ব্লকের কংগ্রেস সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন দলের প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি তথা বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, বর্ষীয়ান বিধায়ক জ্ঞানসিংহ সোহন পাল, কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে প্রমুখ।

Advertisement

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে ৪৮৯১৪টি ভোট পেয়ে কংগ্রেস প্রার্থী চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। এর মধ্যে কোনও বিধানসভাতেই ভাল ফল করতে পারেনি কংগ্রেস। এমনকী ‘শক্ত ঘাঁটি’ বলে পরিচিত খড়্গপুর সদর বিধানসভা এলাকাতেও চতুর্থ স্থানে কংগ্রেস প্রার্থী। খড়্গপুর সদর বিধানসভায় প্রথম স্থানে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। বছর ঘুরলেই রেলশহরে পুরসভা নির্বাচন। তাই এ দিনের বৈঠকে প্রতিটি ব্লকের খারাপ ফলের কারণ পর্যালোচনা করে হারানো জমি পুনরুদ্ধারে নামার ডাক দেওয়া হয়। দলীয় নেতাদের একাংশের মতে, কোনও কোনও ব্লকের নেতা-কর্মীরা এই লোকসভা নির্বাচনকে আন্তরিকভাবে নেননি। যুব, মহিলা ও ছাত্র সংগঠনগুলিও গা-ছাড়া মনোভাব দেখিয়েছে। জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া বলেন, “দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও তৃণমূলের সন্ত্রাস আমাদের খারাপ ফলের পিছনে রয়েছে। তাই দুর্বলতা কাটিয়ে কীভাবে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করা যায়, সেজন্য নিচুস্তর পর্যন্ত দলকে শক্তিশালী করার ডাক দেওয়া হয়েছে।”

বৈঠকে জানানো হয়, আগামী দিনে প্রতিটি এলাকার নেতা ও কর্মীদের আরও সতর্ক হতে হবে। সক্রিয়তার বদলে যাঁরা গা-ছাড়া মনোভাব নিয়ে চলতে চাইবে, তাঁরা ইচ্ছে করলে দল থেকে বেরিয়ে যেতেও পারেন। এছাড়াও বৈঠকে দলের ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠনকে শক্তিশালী করা, সাধারণ মানুষের কাছে বিগত ইউপিএ সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরা, বিপদে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর মতো শপথ নেওয়ার কথাও বলা হয়। খড়্গপুর পুরসভা নির্বাচন ও আগামী বিধানসভার আগে যাতে এই ত্রুটি শুধরে নেওয়া যায় সেজন্য ব্লক ও শহর নেতাদের নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “শুধু খড়্গপুরের জন্য নয়, গোটা লোকসভা কেন্দ্রেই শূন্য থেকে শুরু করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে খড়্গপুরে খারাপ ফল হওয়ায় আমরা পরে একটি পর্যালোচনা বৈঠক ডাকব।” মানস ভুঁইয়া বলেন, “আমি কংগ্রেসের একজন সৈনিক। প্রদেশ সভাপতি যেখানে বলবেন, সেখানেই পর্যালোচনার জন্য যাব। সাংগঠনিক ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও যেটুকু ভোট আমরা পেয়েছি তাতে মানুষকে ধন্যবাদ।”

Advertisement

এ দিন ঝাড়গ্রামের একটি অতিথিশালাতেও ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে হার নিয়ে পর্যালোচনা করেন মানসবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement