রাতে সবে একটু ঘুমটা ধরেছে। হঠাৎ চোর, চোর চিৎকারে ঘুমটা বেমক্কা ভেঙে গেল। বাইরে বেরিয়ে দেখা গেল সব ভোঁ ভা।ঁ কেউ কোথাও নেই। প্রায়ই এমন আজব ঘটনা ঘটছে বলে দাবি এগরা ও পটাশপুরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, আতঙ্ক ছড়াতেই কিছু লোক এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে। পটাশপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাউয়ের দা বি, মজা করতেই কেউ কেউ মদ্যপ অবস্থায় আতঙ্ক ছড়াবার চেষ্টা করছে। তাঁর বক্তব্য, “এলাকায় কয়েকটি চুরির ঘটনাও ঘটেছে। তারপর থেকে হঠাৎ এ ভাবে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা চলছে। তবে কে বা কারা এই কাজ করছে, তাঁদের চিহ্নিত করা যায়নি। বিভিন্ন এলাকায় গ্রামরক্ষী বাহিনীর মাধ্যমে পাহারার ব্যবস্থা করেছি।” পটাশপুরের পঁচেট এলাকার অনিল দাস বলেন, “প্রায়দিনই রাতে হঠাৎ চিৎকারে ঘুম ভেঙএ যাচ্ছে। বাইরে বেরিয়ে কাউকেই দেখতে পাচ্ছিনা। বাড়ির সকলেই আতঙ্কে রয়েছে।” “প্রায়ই সন্ধ্যার পর বেশ কয়েকজন যুবকের চিৎকার শুনতে পাই। আজ পর্যন্ত কাউকে দেখতে পাইনি। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি” বক্তব্য এগরার বহরদা গ্রামের পুলক শাসমলের।
এগরার মহাবিশ্রা গ্রামের বাসিন্দাদেরও দাবি, গত কয়েকদিন আগে চোর সন্দেহে এক জন যুবককে তাঁরা ধরেও ফেলে। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মঙ্গলবার রাতে এগরা-১ ব্লকের জুমকি ও আরবিসি অঞ্চলের গ্রামে রাতে হঠাৎ চোর-চোর চিৎকারে আতঙ্ক ছড়ায়। রাতেই গ্রামবাসীরা পুলিশে বিষয়টি জানান। জুমকি অঞ্চলের উপ-প্রধান উদয়শঙ্কর সর বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখেছি। রাতে আতঙ্ক ছড়াতেই কিছু লোক এ ভাবে সমস্যা তৈরির চেষ্টা করছে।” একই বক্তব্য এগরা-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিদ্ধেশ্বর বেরার। এগরা থানার ওসি মদনমোহন রায় জানান, গত বেশকিছু দিন ধরে থানায় এ ধরনের ৫০টিরও বেশি ফোন এসেছে। রাতেই নিজে বেশ কিছু এলাকায় গিয়েও কিছু পাইনি। আতঙ্ক ছড়াতেই কেউ এই কাজ করছে। এগরার এসডিপিও সমীর বসাক বলেন, “স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় কারা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, তা দেখা উচিত।” এগরার মহকুমাশাসক অসীমকুমার বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টির কথা শুনেছি। গত সপ্তাহে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকেও বিষয়টিতে নজর দেওয়ার জন্য বলেছি।”