রাত জেগে বিশ্বকাপ, স্কুল ছুটিতে বিক্ষোভ

ব্রাজিলে ফুটবলের বিশ্বযুদ্ধের ফাইনালে জার্মানি-আর্জেন্তিনা মহারণ! একবার সুযোগ হারালে ফের চার বছরের অপেক্ষা। তাই রাত জেগে খেলা দেখতেই হবে। কিন্তু সমস্যা একটাই। রাতভর খেলা দেখলে পরদিন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে স্কুল যাবেন কী করে মাস্টারমশাইরা। সমস্যা যখন আছে। তার সমাধানও আছে। সহ-শিক্ষকদের ‘আবদারে’ সোমবার স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেন প্রধান শিক্ষক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৪ ০০:১১
Share:

ব্রাজিলে ফুটবলের বিশ্বযুদ্ধের ফাইনালে জার্মানি-আর্জেন্তিনা মহারণ!

Advertisement

একবার সুযোগ হারালে ফের চার বছরের অপেক্ষা। তাই রাত জেগে খেলা দেখতেই হবে। কিন্তু সমস্যা একটাই। রাতভর খেলা দেখলে পরদিন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে স্কুল যাবেন কী করে মাস্টারমশাইরা।

সমস্যা যখন আছে। তার সমাধানও আছে। সহ-শিক্ষকদের ‘আবদারে’ সোমবার স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেন প্রধান শিক্ষক। আর তার জেরেই বিপত্তি। মঙ্গলবার স্কুল খুলতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকেরা। ঘটনাটি নারায়ণগড়ের মান্না গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন্দা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষানিকেতনের।

Advertisement

অভিভাবকদের প্রশ্ন, এলাকার অন্য স্কুল সোমবার খোলা থাকলেও কেন ওই স্কুল বন্ধ? তাদের দাবি, খেলা দেখার অজুহাতে শনিবারও কোনওরকমে স্কুল সারা হয়। তারপর শিক্ষকেরা পরপর দু’দিন রবিবার ও সোমবার ছুটি কাটিয়েছেন। সোমবার ছুটির কথা অনেকেই জানতো না। ফলে ওই দিন অনেক পড়ুয়া স্কুল এসে দরজা বন্ধ দেখে ফিরে যায়।

মঙ্গলবার সকালে স্কুল খোলার আগেই স্কুলের সামনে অভিভাবক ও পড়ুয়ারা জমায়েত করেন। স্কুল অকারণে বন্ধ রাখা ছাড়াও প্রতি শনিবার মিড-ডে মিল বন্ধ থাকা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আসা-যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় না মানা-সহ নানা দাবিতে সরব হন তাঁরা। অভিভাবক তাপস মণ্ডল, ছবিরঞ্জন দাসদের অভিযোগ, “স্কুলের শিক্ষার মান দিন-দিন কমছে। সরকারি বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা নেই। কিন্তু শিক্ষকদের বিশ্বকাপ দেখার জন্য স্কুল ছুটি, এটা তো অভিনব। অনেক ছেলেমেয়েই ছুটির কথা সঠিকভাবে জানতে না পারায় স্কুলে এসে ফিরে গিয়েছে। তাই আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহিতোষ দাস বলেন, “সারা বছরে একটি শিক্ষাবর্ষে স্কুলে মোট ৬৫ দিন ছুটি রয়েছে। তা ছাড়াও ৫ দিন স্কুল ছুটি দেওয়ার ক্ষমতা আমার হাতে রয়েছে। গত শনিবার স্কুলের সহ শিক্ষকেরা বিশ্বকাপের খেলা দেখার জন্য সোমবার স্কুল ছুটি দেওয়ার অনুরোধ জানায়।” তিনি আরও বলেন, “সহ শিক্ষকদের অনুরোধ বিবেচনা করে আমার হাতে থাকা ৫ দিন ছুটির মধ্যে থেকেই আমি সোমবার স্কুলে ছুটি ঘোষণা করি। তবে এটা ঠিক, এলাকার অন্য স্কুল সোমবার খোলা ছিল।” স্কুলে শনিবার মিড-ডে মিল বন্ধ থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষকের দাবি, অর্থের অভাবেই শনিবার মিড-ডে মিল বন্ধ থাকে। মঙ্গলবার বিক্ষোভের জেরে নির্ধারিত সময়ের থেকে প্রায় আধ ঘণ্টা দেরিতে স্কুল শুরু হয়। পরে ৪১ জন অভিভাবক সুষ্ঠুভাবে স্কুল পরিচালনার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি দাবিপত্রও জমা দেন। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সংঘমিত্র মাকুড় বলেন, “বিশ্বকাপের খেলা দেখা না অন্য কোনও কারণে স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছিল, খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement