মেদিনীপুর শহরে মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
কলকাতার পর এ বার মেদিনীপুর। সারদা কাণ্ডে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রের গ্রেফতারির ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামলেন একাংশ খেলোয়াড়। শুক্রবার দুপুরে মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তারা এতে সামিল হন। নেতৃত্বে অবশ্য ছিলেন মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতিই। মৃগেনবাবু শাসক দলের জেলা চেয়ারম্যান।
মিছিলটি শহরের রিং রোড পরিক্রমা করে। এ দিনও মিছিলের জেরে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যানজট হয়। নাকাল হন বহু মানুষ। মিছিল যে পথ দিয়ে এগিয়েছে, সেই পথে আটকে পড়েছে ছোট-বড় গাড়ি। কেন এই মিছিল? বিধায়ক মৃগেনবাবু সরাসরিই বলছেন, “মদন মিত্রকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা ওঁর মুক্তি চাই!” তাঁর দাবি, “সিবিআইকে বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করছে।” মিছিলের জেরে যে পথচলতি অনেক মানুষ সমস্যায় পড়লেন? বিধায়ক বলেন, “খেলোয়াড়রাই এই মিছিলের আয়োজন করেছিলেন। আজ আমরা বাধ্য হয়েছি পথে নামতে। যে চক্রান্ত চলছে, তার বিরুদ্ধে পথে নেমেই প্রতিবাদ করতে হবে। তবে পথচলতি মানুষকে আমরা সমস্যায় ফেলতে চাইনি। যাঁরা সমস্যায় পড়েছেন, তাঁদের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।”
মিছিলে ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ তাপস দে, মহকুমা (সদর) ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জীত তোরই, সন্দীপ সিংহ প্রমুখ। সন্দীপবাবু বলেন, “আমরা চাই, রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা-সম্প্রীতি- উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকুক। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যে লাগাতার কুৎসা ও অপপ্রচার চলছে, আমাদের প্রতিবাদ তার বিরুদ্ধেও।”
মিছিলটি অরাজনৈতিক বলেই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। অবশ্য অরাজনীতির খোলস শুরু থেকেই ছিল না। আগাগোড়াই কর্মসূচিটি পরিচালনা করেছেন যাঁরা, তাঁদের অনেকেই যুব তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের মন্তব্য, “কী জন্য এই মিছিল? মদন মিত্রকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। সিবিআই তো সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে। তৃণমূল অনুগামী কয়েকজন খেলোয়াড় ছাড়া কেউই মিছিলে যাননি বলে শুনেছি। যাঁরা যাননি তাঁরা বিলক্ষণ জানেন, এই মিছিলে যাওয়া মানেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া।”
তাঁর কথায়, “এ ভাবে কী দুর্নীতি থেকে হাত ধুয়ে ফেলা যায়! শাক দিয়ে কখনওই মাছ ঢাকা যায় না।”