একশো দিনের কাজ করেও মজুরির টাকা না পেয়ে প্রধান, উপ প্রধান এবং পঞ্চায়েত কর্মীদের পঞ্চায়েত অফিসে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। সোমবার ঝাড়গ্রাম ব্লকের সর্ডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, একশো দিনের কাজ করেও তাঁরা গত আট মাস যাবৎ মজুরির টাকা পাচ্ছেন না। এখন উপভোক্তাদের ডাকঘর অথবা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা আসে। কিন্তু গত আট মাস ধরে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ছে না। সর্ডিহা পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, একশো দিনের কাজের মজুরি বাবদ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ডাকঘর ও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে ফান্ড ট্রান্সফার করে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে এখনও জমা পড়ে নি। পুজোর আগে টাকা না পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা।
বারবার জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা না হওয়ায় এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েত অফিসে চড়াও হন বাসিন্দারা। সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রধান দেবযানী মাহাতো, উপ প্রধান ধনঞ্জয় পাল ও পঞ্চায়েত কর্মীদের প্রায় সাত ঘন্টা তালাবন্ধ করে রাখা হয়। পরে টেলিফোনে ঝাড়গ্রামের বিডিও-র আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ ওঠে। পঞ্চায়েত প্রধান দেবযানী মাহাতো বলেন, “ডাকঘর ও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডাকঘর ও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের নিজস্ব কোনও সমস্যার কারণে উপভোক্তারা টাকা পাচ্ছেন না। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
ঝাড়গ্রামের বিডিও অনির্বাণ বসু এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান নি। তবে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ডাকঘর ও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের আভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার জন্য উপভোক্তারা কয়েক মাস যাবত টাকা পাচ্ছেন না। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে। ব্যাঙ্কে যাদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তারা পুজোর আগেই টাকা পেয়ে যাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন জেলা প্রশাসনের এক কর্তা। আর ডাকঘরে যাদের অ্যাকাউন্ট আছে, তাঁরা অবশ্য পুজোর আগে টাকা পাবেন না। তাঁদের আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।
জয়ী তৃণমূল। কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের মীর্জাপুর হাই স্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নিবার্চনে তৃণমূল প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।