সবংয়ে শনিবার কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার পদযাত্রা। —নিজস্ব চিত্র।
ঘাটাল জয়ে খাসতালুক সবংয়ে প্রচারে উন্নয়নকেই হাতিয়ার করলেন মানস ভুঁইয়া।
শনিবার সবংয়ে ব্লক কংগ্রেস কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কর্মিসভা করেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়া। কর্মিসভা শেষে রোড-শো করেন মানসবাবু। রোড-শোতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অমল পণ্ডা। আজ, সোমবার কেশপুরে রোড-শো করবেন মানসবাবু। দলীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ কেশপুর বাজার থেকে রোড-শো শুরু হয়ে আনন্দপুর বাজারে যাবে। এ দিন বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ ফের কেশপুরের জলকা থেকে রোড-শো করবেন কংগ্রেস প্রার্থী। সেখান থেকে কলাগ্রাম হয়ে কেশপুর ব্যসস্ট্যান্ডে রোড-শো শেষ হবে। বাসস্ট্যান্ডে একটি পথসভা করার কথা রয়েছে।
সবংয়ে কংগ্রেসের শক্তি বরাবরই বেশি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সবংয়ের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫টি, জেলা পরিষদের ১টি আসন ও পঞ্চায়েত সমিতির দখল নেয় কংগ্রেস। তাই ঘাটাল কেন্দ্রে প্রচারে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না কংগ্রেস নেতৃত্ব। চড়া রোদ উপেক্ষা করে শনিবারের মানস ভুঁইয়ার সমর্থনে রোড-শোতে ভিড় উপচে পড়েছিল। এ দিন মানসবাবু বলেন, “আমি কোনও প্রার্থীকেই ছোট করছি না। মানুষের জন্য দীর্ঘ দিন সংগ্রাম করেছি। দলীয় আদর্শকে সামনে রেখে আমি এখনও মানুষের স্বার্থে এগিয়ে যাব।”
সবংয়ের কর্মিসভাতেও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমুখী প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন কংগ্রেস প্রার্থী। মানসবাবু কেলেঘাই কপালেশ্বরী নদী সংস্কার, বালিচক-সবং রাস্তা সম্প্রসারণ ও সংস্কার, গ্রামে গ্রামে বিদ্যুত্ পৌঁছে দেওয়া, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় পাকা রাস্তা তৈরি করার কথা তুলে ধরেন। বিধায়ক হিসেবে তাঁর করা সবংয়ের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে মানসবাবু অভিযোগ করেন, “কেন্দ্র টাকা অনুমোদন করা সত্ত্বেও ডেবরা উড়ালপুল, মেদিনীপুরে অ্যানিকেত বাঁধ, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হয়নি। এর জন্য রাজ্য সরকারই দায়ি।”
কর্মিসভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “সবংয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বিদ্যুত্, রাস্তাঘাট, জলপ্রকল্পের উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু ডেবরা, কেশপুর, দাসপুর এখনও অনুন্নত। সবংয়ে উন্নয়নের মডেলকে সামনে রেখে ওই সমস্ত এলাকারও উন্নয়ন করব।” মানসবাবু নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মন্তব্যকে কটাক্ষ করে মানসবাবু বলেন, “নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে অখিলেশ যাদব, জয়ললিতা তো চিত্কার করছেন না। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন এত চিত্কার করছেন? পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা বিভীষিকা দেখেছি। এ বার আমরা শান্তিতে ভোট দিতে চাই।”