মোগলমারি পরিদর্শনে জাপানি গবেষকের দল

মোগলমারি বৌদ্ধবিহার পর্যবেক্ষণে এলেন জাপানের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন গবেষক শিক্ষক-শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবার দুপুরে দাঁতনের মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সখীসেনা ঢিবির ওই বিহারে আসেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:২০
Share:

বৌদ্ধবিহারের খুঁটিনাটি দেখছেন জাপানি গবেষকেরা। —নিজস্ব চিত্র।

মোগলমারি বৌদ্ধবিহার পর্যবেক্ষণে এলেন জাপানের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন গবেষক শিক্ষক-শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবার দুপুরে দাঁতনের মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সখীসেনা ঢিবির ওই বিহারে আসেন তাঁরা। জাপানের সুচিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শিক্ষিকা নাসু মায়উমি, শিক্ষক মাইনিনোরি মাৎসুমোতো, শাক্য সুদন এবং হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতো নাউকো খননকাজের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করেন। ওড়িশা ও বাংলার বিভিন্ন বৌদ্ধবিহার নিয়ে গবেষণা করছেন এই চার জন জাপানি শিক্ষক-শিক্ষিকা। এর আগে তাঁরা গিয়েছিলেন মালদহের জগজীবনপুরে।

Advertisement

২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত খনন চালিয়ে মোগলমারিতে বৌদ্ধবিহারের খোঁজ মেলে। সেই খননকাজ চলেছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক প্রয়াত অশোক দত্তের নেতৃত্বে। এরপর ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর সংরক্ষণের কাজে হাত দিয়ে ফের সেখানে খননকাজ শুরু করে রাজ্য পুরাতত্ত্ব বিভাগ। ২০১৪ সালের মার্চ থেকে খননকাজ বন্ধ থাকার পরে ফের চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের অনুমতি নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে রাজ্য পুরাতত্ত্ব বিভাগ। সেই খনন চলাকালীন ফের এই জাপানি গবেষকদের পর্যবেক্ষণে খুশি এলাকাবাসী। স্থানীয় তরুণ সেবা সঙ্ঘের যুগ্ম-সম্পাদক অতনু প্রধান বলেন, “জাপানি গবেষকদের এই পরিদর্শনে এটা ভেবে ভাল লাগছে যে আমাদের এই বৌদ্ধবিহার এখন জেলা, রাজ্য, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। যে কোনও দেশের গবেষকেরা মোগলমারি নিয়ে গবেষণা করতে চাইলে আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement