মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ত্রিদীভা। (ইনসেটে) ত্রিদীভার আঁকা ছবি। নিজস্ব চিত্র।
‘দিদি’র সঙ্গে দেখা করার বায়না ধরেছিল ছোট্ট মেয়েরা। কিন্তু সত্যিই যে এ ভাবে দেখা হবে, তা ভাবতে পারেনি বছর চারেকের ত্রিদীভা। মঙ্গলবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, থুড়ি ‘দিদি’র সঙ্গে তার দেখা হয়। নিজের হাতে আঁকা ছবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিল সে। ছবি দেখে খুশিও হন মুখ্যমন্ত্রী। ছবির উপরই লিখে দেন, ‘সুইট ত্রিদীভা। খুব ভালো থেকো। হ্যাপি নিউ ইয়ার।’ সঙ্গে নিজের অটোগ্রাফ। এখানেই শেষ নয়, উপহার হিসেবে ছোট্ট মেয়েটিকে নগদ এক হাজার টাকা এবং দু’টি চকোলেটও দেন তিনি।
মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দনগরের বাসিন্দা ত্রিদীভার বাবা মৃণালকান্তি বারিক শহরের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। তিনিই জানান, মেয়ের বায়নার কথা পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষকে জানিয়েছিলেন মৃণালবাবু। ভারতীদেবী আশ্বাস দিয়েছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ত্রিদীভার দেখা করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। মেয়েকে নিয়ে সোমবার রাতেই সার্কিট হাউসের কাছে পৌঁছন মৃণালবাবু। ওই দিন রাতে অবশ্য দেখা হয়নি। মঙ্গলবার দুপুরে অবশ্য সার্কিট হাউসে এসে আর খালি হাতে ফিরতে হয়নি। বছর চারেকের মেয়েটি নিজের হাতে আঁকা ছবি নিয়ে এসেছে শুনেই তার সঙ্গে দেখা করতে রাজি হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। বেলা সাড়ে বারোটা থেকে প্রায় মিনিট কুড়ি ‘দিদি’র সঙ্গেই ছিল নার্সারির ছাত্রী ত্রিদীভা।
মৃণালবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এই ভালবাসা, এই আশীর্বাদ মেয়ে পাবে বলে কল্পনাও করতে পারিনি।পরিবারের সকলেই খুব খুশি।” আর ছোট্ট ত্রিদীভার কথায়, “দিদির সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমি খুব খুশি।”