খড়্গপুরে ফারহান আখতার।—নিজস্ব চিত্র।
খড়্গপুর আইআইটি-র বসন্ত উৎসবের সমাপ্তি হল সোমবার। আইআইটি-র জ্ঞান ঘোষ স্টেডিয়ামে আয়োজিত সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক তথা অভিনেতা ফারহান আখতার। প্রতিষ্ঠানের টাইগার ওপেন এয়ার থিয়েটারে একটি টক-শোতেও যোগ দেন। ফারহান আখতারকে দেখতে উপচে পড়ে ভিড়।
১৯৬০ সাল থেকেই খড়্গপুর আইআইটিতে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তখন আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা নামে ওই উৎসবে পড়ুয়াদের নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকত। পরে এই অনুষ্ঠানের নাম হয় বসন্ত উৎসব। মূলত আইআইটি-র ছাত্রদের জিমখানা সংগঠনের পক্ষ থেকে বিটেক পড়ুয়ারা এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ৫৬ তম বর্ষের এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এ বার অনুষ্ঠানে যোগ দেয় ইন্ডিয়ান ওয়েসিস, ইউফোরিয়ার মতো জনপ্রিয় গানের দল। তাছাড়াও ছিল নাচ, গান, নাটক, চলচ্চিত্র উৎসব, সামাজিক ক্রিয়াকলাপ-সহ একগুচ্ছ অনুষ্ঠানের আয়োজন।
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক বিটেকের ছাত্র মোহক গুপ্ত বলেন, “‘স্প্রিং ফেস্টিভ্যাল’ আমাদের সারা বছরের চাপ থেকে মুক্ত করে। চার দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে দেশের একশোটি কলেজ থেকে প্রায় দু’হাজার পড়ুয়া যোগ দিয়েছিল। আমাদের পড়ুয়ারা তো ছিলই।” তাঁর কথায়, “শেষ দিনে ফারহান আখতারকে দেখতে অধিক ভিড়ের আশা ছিলই।”
জ্ঞান ঘোষ স্টেডিয়ামে মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে বিকেল সাড়ে ৪টেয় টাইগার ওপেন এয়ার থিয়েটারে একটি টক-শোতে যোগ দেন ফারহান। সেখানে মূলত নিজের সংস্থা ‘মেন অ্যাগেনস্ট রেপ অ্যান্ড ডিক্রিমিনেশন’ (মার্দ)-এর প্রচারে বক্তব্য রাখেন ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ খ্যাত জনপ্রিয় এই নায়ক। বক্তব্যে সমাজের ছাত্র-যুব সকলকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
টক-শো শেষে মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেন ফারহান। মঞ্চে গানের মাঝেই নানা অজানা প্রসঙ্গ ছাত্রদের সামনে তুলে ধরেন গায়ক ফারহান। তিনি বলেন, “আমি বা কোনও খেলোয়াড় মিলখা সিংহের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি বলেছেন, পরিশ্রমই জীবনে সাফল্য আনতে পারে। তাই সকলের সেই কথাটা মেনে চলা উচিত।” এ দিন নিজের গাওয়া ‘পিছলে সাত দিনে মে’, ‘রক-অন’, ‘সেনিওরিতা’র মতো গানও গেয়ে শোনান তিনি।
শুধু বিটেক নয়, ফারহানকে দেখতে আইআইটি-র অন্য বিভাগের গবেষক পড়ুয়াদেরও ভিড় উপচে পড়ে। আইআইটি-র গবেষক ছাত্রী অন্বেষা সেনগুপ্তর কথায়, “ইচ্ছা থাকলেও আমাদের মতো গবেষক পড়ুয়ারা সময়ের অভাবে এইসব অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকতে পারি না। কিন্তু ফারহানের মতো বহুমুখী প্রতিভার অধিকারীকে দেখার সুযোগ ছাড়তে না পেরে চলে এসেছি। অনুষ্ঠানে এসে একটা দারুণ অভিজ্ঞতা হল।”