বন্ধ কারখানা খোলার দাবিতে শ্রমিক-মিছিল

বন্ধ কলকারখানা খোলা, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দেওয়া-সহ বেশ কিছু দাবিতে বুধবার মেদিনীপুরে মিছিল করল কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলো। মিছিল শেষে জেলাশাসকের দফতরের সামনে কালেক্টরেট মোড়ে বিক্ষোভ-কর্মসূচিও হয়। পরে ইউনিয়নগুলোর এক প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি জমা দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:২৬
Share:

বন্ধ কলকারখানা খোলা, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দেওয়া-সহ বেশ কিছু দাবিতে বুধবার মেদিনীপুরে মিছিল করল কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলো। মিছিল শেষে জেলাশাসকের দফতরের সামনে কালেক্টরেট মোড়ে বিক্ষোভ-কর্মসূচিও হয়। পরে ইউনিয়নগুলোর এক প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি জমা দেয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন দীপক সরকার, সন্তোষ রাণা প্রমুখ। সিটু, এআইটিইউসির মতো বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনের পাশাপাশি কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসিও বুধবারের এই কর্মসূচিতে সামিল হয়। শহরের বিদ্যাসাগর হলের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। পরে তা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে কালেক্টরেট মোড়ে পৌঁছয়। মিছিলের জেরে কয়েক’টি মোড়ে যানজট হয়।

Advertisement

কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলো মেদিনীপুরে এক কনভেনশন করে ইতিমধ্যেই ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই মতো কিছু কর্মসূচিও হচ্ছে। শ্রমিক নেতাদের দাবি, গোটা রাজ্যেই নতুন কলকারখানা সেই ভাবে হচ্ছে না। উল্টে একের পর এক চালু কারখানা বন্ধ হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ছবিটাও একই। এ জেলাতেও শিল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি পড়ে রয়েছে। অথচ নতুন কারখানা হচ্ছে না। বুধবারের কর্মসূচিতে ছিলেন সিটুর জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ দাস, এআইটিইউসির জেলা সম্পাদক বিপ্লব ভট্ট প্রমুখও।

কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলোর দাবি, গত তিন বছরে রাজ্যে নতুন শিল্পের প্রসার প্রায় বন্ধ। বিধানসভায় রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন, বিগত মার্চ মাস পর্যন্ত ২৭২টি বড় ও মাঝারি কারখানা বন্ধ হয়েছে। এর ফলে, সব মিলিয়ে ৭২ হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। নেতৃত্বের মতে, প্রায় সব ক্ষেত্রেই শ্রমিকের বেতন বকেয়া থাকছে। রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির জন্যই একদিকে যেমন নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। অন্যদিকে তেমন হাজার হাজার কর্মরত শ্রমিক রুজিরুটি হারাচ্ছেন। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে বুধবারের কর্মসূচি থেকে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দেন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলোর জেলা নেতৃত্ব। নেতৃত্বের দাবি, অর্জিত অধিকার রক্ষার স্বার্থেই শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement