দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। রবিবার সকালে টিউশন পড়তে যাওয়ার পথে চণ্ডীপুরে মেশিন ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হল মোটরসাইকেল আরোহী এক স্কুল ছাত্রের। শনিবার রাতে নন্দকুমারে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চণ্ডীপুর থানার এড়াশালের কাছে দুর্ঘটনায় মৃত হৃত্বিক সাহু (১৭) স্থানীয় কাণ্ডপশরা হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। অন্য দিনের মতো রবিবারও চণ্ডীপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা হৃত্বিক মোটরসাইকেলে করে টিউশন পড়তে যাচ্ছিল। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ এড়াশাল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ধানের বস্তা বোঝাই মেশিন ভ্যানের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারাই হৃত্বিককে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে এড়াশাল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ওই স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর পর স্থানীয় বাসিন্দারা মেশিনভ্যান চলাচল বন্ধের দাবি তুলে চণ্ডীপুর-নন্দীগ্রাম সড়ক অবরোধ করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবরোধ চলায় যানজট তৈরি হয়। পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মেশিন ভ্যানের চালককে ধরতে তদন্ত চলছে।
অন্য দিকে, শনিবার রাতে নন্দকুমারের খঞ্চির কাছে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও এক যুবক। মৃতের নাম চৈতন্য ঘোড়ই (৩০)। তাঁর বাড়ি স্থানীয় চন্দনখালি গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাতে চৈতন্য ও তাঁর দুই সঙ্গী মোটরসাইকেলে করে খঞ্চি এলাকায় একটি অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিল। অনুষ্ঠান দেখে জাতীয় সড়ক ধরে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ খঞ্চির কাছে একটি লরির সঙ্গে তাঁদের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক ও পিছনের আসনে বসা চৈতন্য রাস্তায় ছিটকে পড়েন। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ দিন রাতে হাসপাতালেই চৈতন্যের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, লরিটিকে ধরতে তল্লাশি চলছে।