সবং

প্রতিবেদনে ভুল, সভা পিছোল পঞ্চায়েত সমিতির

কংগ্রেস পরিচালিত সবং পঞ্চায়েত সমিতির উন্নয়ন মূলক কাজের প্রতিবেদন ‘ভুলে’ ভরা। তৃণমূল এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করায় বার্ষিক সাধারণ সভা স্থগিত হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার স্থায়ী সমিতির সারা বছরের উন্নয়ন মূলক কাজের পর্যালোচনা নিয়ে সাধারণ সভা ছিল সবং পঞ্চায়েত সমিতিতে। উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি অর্চনা মুর্মু, বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, জেলা পরিষদ সদস্য কংগ্রেসের বিকাশ ভুঁইয়া, জেলা কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের অমূল্য মাইতি প্রমুখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ০১:২২
Share:

কংগ্রেস পরিচালিত সবং পঞ্চায়েত সমিতির উন্নয়ন মূলক কাজের প্রতিবেদন ‘ভুলে’ ভরা। তৃণমূল এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করায় বার্ষিক সাধারণ সভা স্থগিত হয়ে গেল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার স্থায়ী সমিতির সারা বছরের উন্নয়ন মূলক কাজের পর্যালোচনা নিয়ে সাধারণ সভা ছিল সবং পঞ্চায়েত সমিতিতে। উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি অর্চনা মুর্মু, বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, জেলা পরিষদ সদস্য কংগ্রেসের বিকাশ ভুঁইয়া, জেলা কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের অমূল্য মাইতি প্রমুখ। সেই সভাতেই ৩১ পাতার একটি পুস্তিকা প্রকাশিত হয়। সেখানে খাদ্য সরবরাহ, কৃষি-সেচ-সমবায়ের স্থায়ী সমিতি নিয়ে নানা কথা তুলে ধরা হলেও অর্থ, বন ও ভূমি, ক্ষুদ্র শিল্প, বিদ্যুৎ-সহ ৭টি স্থায়ী সমিতির কথা প্রকাশ করা হয়নি বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও বিতর্ক বাধে ভূমি ও রাজস্ব, খণিজ এবং অন্য খাতে পঞ্চায়েত সমিতির আয় করা মোট ৪১ কোটি ৯৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ১০২ টাকার হিসেব নিয়েও।

কেন ৭টি স্থায়ী সমিতির উল্লেখ নেই? সেই প্রশ্ন তুলে তৃণমূলের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতি যে পরিমাণ আয় দেখিয়েছে তাতে জেলা বা রাজ্যের টাকার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও উন্নয়নমূলক কাজে পঞ্চায়েত সমিতি নজির গড়তে পারেনি। তৃণমূলের এই অভিযোগের পরেই ওই পুস্তিকার মুদ্রণে ভুল থেকে গিয়েছে বলে দাবি করে কংগ্রেস। ফের পুস্তিকার ভুল সংশোধন করে বৈঠক ডাকার কথা বলা হয়।

Advertisement

পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অর্চনা মুর্মু বলেন, “৩ ডিসেম্বর ফের সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে।” জেলা পরিষদের কংগ্রেস সদস্য বিকাশ ভুঁইয়া বলেন, “জেলার ভূমি রাজস্ব দফতরের আয়ের হিসেব ভুল করে পঞ্চায়েত সমিতির হিসেবের সঙ্গে মুদ্রনের ভুলে ঢুকে গিয়েছে। আমরাই ভুল ধরতে পেরে সংশোধনের জন্য বলেছি।” বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না সভায় উপস্থিত তৃণমূলের জেলা কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি। তিনি বলেন, “এই পঞ্চায়েত সমিতি নাবালকের মতো কাজ করছে। তার উপরে ইচ্ছাকৃত ভুল প্রতিবেদন ছাপিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।” তাঁরাই আগে ভুল ধরতে পেরেছেন, দাবি এই তৃণমূল নেতার।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরে তিনটি করে সভা করার কথা থাকলেও অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতি বছরে একটি করেই সাধারণ সভা করেন। এ দিন সেই নিয়মে সবং পঞ্চায়েত সমিতিও স্থায়ী সমিতির কাজের পর্যালোচনা নিয়ে বার্ষিক সাধারণ সভা ডেকেছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরে একমাত্র এই পঞ্চায়েত সমিতিই কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই পঞ্চায়েত সমিতি নিয়ে সারা বছর ধরেই আকচা-আকচি চলতে থাকে। এ দিন সমিতির সারা বছরের আয়-ব্যয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন পুস্তিকা প্রকাশিত হয়। সেখানে খাদ্য সরবরাহ, কৃষি-সেচ-সমবায়ের স্থায়ী সমিতি নিয়ে নানা কথা তুলে ধরা হলেও অর্থ, বন ও ভূমি, ক্ষুদ্র শিল্প, বিদ্যুৎ-সহ ৭টি স্থায়ী সমিতির কথা প্রকাশ করা হয়নি বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও বিতর্ক বাধে ভূমি ও রাজস্ব, খণিজ এবং অন্য খাতে পঞ্চায়েত সমিতির আয় করা মোট ৪১ কোটি ৯৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ১০২ টাকার হিসেব নিয়েও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement