প্রহরী বিহীন রেলগেট পেরোতে গিয়ে নীলাচল এক্সপ্রেসের ধাক্কায় জখম হলেন একটি মালবাহী পিক-আপ ভ্যানের দু’জন সওয়ারি। শুক্রবার বেলদা ও বাখরাবাদ স্টেশনের কাছে কানিয়াচক গ্রামেয ঘটনাটি ঘটে। এ দিন কানিয়াচক থেকে কালিবাগিচা যাওয়ার মাঝে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর থেকে দক্ষিণ ভারতগামী রেলপথের ওপর একটি পিক-আপ ভ্যানে ধাক্কা মারে খড়্গপুরগামী আপ নীলাচল এক্সপ্রেস। ঘটনায় পিক-আপ ভ্যানে থাকা বেলদার দেউলির বাসিন্দা নিরঞ্জন ঘোড়াই ও দাঁতনের জেনকাপুরের উত্পল মাইতি গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কানিয়াচক থেকে গ্রামের মোরাম রাস্তা ধরে কালিবাগিচার দিকে যাচ্ছিল মালবাহী ওই পিক-আপ ভ্যানটি। কোনও রেলগেট না থাকায় সরাসরি লাইন পেরিয়ে পিক-আপ ভ্যানটি যেতে নিয়ে পুরী থেকে আসা ১২৮৭৫ আপ নীলাচল এক্সপ্রেস ভ্যানটিতে ধাক্কা মারে। মুহূর্তে ছিটকে যায় পিক-আপ ভ্যান। দাঁড়িয়ে পড়ে নীলাচল এক্সপ্রেসও। এর পর বেলদা পুলিশ এসে জখম ওই দু’জনকে উদ্ধার করে। তাঁদের প্রথমে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে মেদিনীপুরে স্থানান্তর করা হয়। পরে খড়্গপুর থেকে একটি রিলিফ ট্রেন এসে ওই পিক-আপ ভ্যানটিকে সরিয়ে যায়। প্রায় প্রায় চল্লিশ মিনিট পরে ছাড়ে নীলাচল এক্সপ্রেস। কিন্তু এভাবে প্রহরী বিহীন রেলগেট দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে ওঠায় ক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। খড়্গপুরের ডিআরএম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই সড়ক দিয়ে কম সংখ্যায় যানবাহন চলাচল করায় ওখানে রেলগেট বা প্রহরী নেই। তবে আমরা সবসময়ে রেল লাইন পেরনোর সময় ডান ও বাম দিক দেখে পার হতে বলি। কিন্তু সেটি না করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ দিন আধ ঘণ্টা দেরিতে চলেছে হয়েছে নীলাচল এক্সপ্রেস।”