নভেম্বরে মমতার সাংগঠনিক সভা

আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এখন থেকেই সংগঠনের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে তৃণমূল। জেলা নেতাদের নিয়ে সাংগঠনিক সভা করতে আসার কথা খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৪ নভেম্বর মেদিনীপুরে মমতা এই সভা করবেন বলে জানা গিয়েছে। সভায় উপস্থিত থাকবেন দুই মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০০:০০
Share:

আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এখন থেকেই সংগঠনের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে তৃণমূল। জেলা নেতাদের নিয়ে সাংগঠনিক সভা করতে আসার কথা খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৪ নভেম্বর মেদিনীপুরে মমতা এই সভা করবেন বলে জানা গিয়েছে। সভায় উপস্থিত থাকবেন দুই মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “আগামী নভেম্বরে সাংগঠনিক সভা করতে আসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রস্তুতিও চলছে।” তৃণমূল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সাংগঠনিক সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে কাল, মঙ্গলবার তমলুকে আসবেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। তমলুকের সভায় থাকার কথা দুই জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব ও দলীয় বিধায়কদেরা। দলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি হিসেবেই সুব্রতবাবুর সভা হবে। সেখানে দুই মেদিনীপুরের দলীয় নেতৃত্ব হাজির থাকবেন।” মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর গত সাড়ে তিন বছর একাধিকবার দুই মেদিনীপুরে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও প্রশাসনিক সভা করেছেন, কখনও প্রশাসনিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। তবে সে ভাবে সাংগঠনিক সভা করেননি। জেলা নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অবশ্য একবার মেদিনীপুরে এসে দলের বিধায়ক এবং নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার হঠাৎ সাংগঠনিক সভা কেন? তৃণমূল সূত্রে খবর, গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতেই নেত্রীর এই সিদ্ধান্ত। জেলার এক তৃণমূল নেতা মানছেন, “এখন কিছু এলাকায় দলের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিচ্ছে। এতে সংগঠনের ক্ষতি হচ্ছে।” এই পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক সভায় মমতা দুই মেদিনীপুরের কয়েকজন জেলা নেতাকে সতর্ক করতে পারেন বলেও দলের এক সূত্রে খবর। কয়েকজন জেলা নেতার ক্ষমতাও খর্ব করা হতে পারে। হতে পারে রদবদল।

Advertisement

দুই মেদিনীপুরের বেশ কিছু এলাকায় তৃণমূল এখন গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার। জেলা নেতৃত্ব অবশ্য প্রকাশ্যে কোন্দলের কথা মানতে চান না। বলেন, এ সব কুৎসা, অপপ্রচার! দিন কয়েক আগে কেশপুরে জেলা পরিষদের এক তৃণমূল সদস্যা খুন হয়েছেন। সিপিএম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও এ ক্ষেত্রে গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি সামনে এসেছে। এই অবস্থায় দলীয় দ্বন্দ্বে রাশ না টানলে দলেরই যে ক্ষতি হবে, তা নেতারা বিলক্ষণ জানেন।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক জেলা নেতা মানছেন, “এক সময় সংগঠন যে গতিতে এগিয়েছে, এখন তা নেই! সংগঠনে ফাঁকফোঁকর তৈরি হচ্ছে। কর্মীদের মধ্যে আত্মতুষ্টি আসতে শুরু করেছে।” এই অবস্থায় তৃণমূলের আর এক ভাবনা বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি। বিশেষ করে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভালই বাড়ছে বিজেপির সংগঠন। সব মিলিয়ে তৃণমূলে সংগঠন ঢেলে সাজার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের এক জেলা তৃণমূল নেতা মানছেন, “শাখা সংগঠন না বাড়লে মূল সংগঠন বাড়বে না।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement