বাড়ির কাছেই পুকুরের বাঁধ থেকে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতার নাম গৌরিরানী মাইতি (৩৩)। মঙ্গলবার সকালে নন্দকুমার থানার বহিচবেড়িয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ দিন মৃতার ভাই গোপাল মাইতি পুলিশে গৌরিরানীদেবীর স্বামী সহদেব মাইতির বিরুদ্ধে দিদিকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সহদেহবাবুকে গ্রেফতার করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহিচবেড়িয়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা সহদেববাবু পেশায় দিনমজুর। সহদেববাবু ও গৌরিদেবীর দুই ছেলে রয়েছে। তাঁদের বছর পনেরোর বড় ছেলে কলকাতায় একটি দোকানে কাজ করে। ছোট ছেলে সুদীপ পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সহদেববাবু প্রায় মদ্যপ অবস্থায় গৌরিদেবীর উপর নির্যাতন চালাতেন। এনিয়ে পরিবারে অশান্তিও হত। সোমবার রাতেও সহদেববাবু মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরলে স্ত্রী গৌরিদেবীর মধ্যে বচসা বাধে। এরপরে গৌরিদেবী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরে রাতে সহদেববাবু বাড়ি ফিরে এলেও গৌরিদেবী ফেরেনি। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ির পিছনে একটি পুকুরের বাঁধের উপর গৌরিদেবীর মৃতদেহ পড়ে দেখেন।
এই ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা সহদেববাবুর বাড়িতে ছুটে এসে দেখেন সহদেববাবু বাড়িতে রয়েছেন। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা সহদেববাবুকে বাড়ির মধ্যে আটকে রাখে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে নন্দকুমার থানার পুলিশ এসে গৌরিদেবীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। ওই গৃহবধূকে পুলিশ খুনের অভিযোগে সহদেবকে গ্রেফতার করে।
সুদীপ বলে, “রাতে বাবা-মায়ের ঝগড়া হচ্ছিল। ঝগড়ার সময় মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপরে বাবাও বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।” গোপালবাবুর অভিযোগ, “অত্যাচারের জেরে কিছুদিন আগে দিদি আমাদের বাড়িতে চলে গিয়েছিল।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।