নারায়ণগড়ে সূর্যকান্ত মিশ্র। —নিজস্ব চিত্র।
মূল্যবৃদ্ধি থেকে সারদা কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপি-তৃণমূলকে কটাক্ষ করে মানুষকে বামপন্থী আন্দোলনে সামিল হওয়ার ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। শুক্রবার নারায়ণগড়ের নারমা গ্রাম পঞ্চায়েতের সানবাইকবার ফুটবল ময়দানের সভায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নীতির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদের আহ্বান জানান তিনি।
যাদবপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “পুলিশ জানে, যাঁরা বহিরাগত তাঁদের হাতে অস্ত্র ছিল। তাঁরা কারা জানতে হবে। তাঁদের খুঁজে বের করে ধরতে হবে। শাসকদল বলে ছেড়ে দিলে হবে না।” তাঁর দাবি, শুধু লাল ঝান্ডা নয়, সকলের উপরই অত্যাচার চলছে। যাদবপুরে সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণ হল। চ্যানেল তো আর বামপন্থীদের নয়।”
সভায় সূর্যকান্তবাবু বলেন, “১৯৭৭ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর সারা বাংলা জুড়ে অনেক উন্নয়নের কাজ হয়েছিল। কিন্তু এখন মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। বাজারে আলুর দাম বাড়ছে।” কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “সিঙ্গুর শ্মশান হয়ে গিয়েছে। আর উনি সিঙ্গুর ছেড়ে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী জাপানে যাচ্ছেন। কি হবে বুলেট ট্রেন? কে ওই ট্রেনে চড়বে!” তিনি বলেন, “সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য রবীন দেবকে সিবিআই ডেকেছে। সময় করে তিনি যাবেন। আমরা বলেছি, তদন্তে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।” সূর্যবাবু বলেন, “যখন সরকারে ছিলাম, চিটফান্ড নিয়ে লড়াই করেছি। আমরা হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম। চিটফান্ডের সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিলাম। আমাদের লুকোবার কিছু নেই।” তাঁকর অভিযোগ, “যাঁরা বড় বড় চোর, তাঁরা মন্ত্রী-সাংসদ হয়ে বসে আছে। তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে লুকিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের লুকোতে হয় না। আমরা বুক চিতিয়ে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।” বিজেপিকে দাঙ্গাবাজ দল বলেও এ দিন সমালোচনা করেন সূর্যকান্ত। তিনি বলেন, “অনেকে ভাবছেন, বিজেপিতে গিয়ে তৃণমূলকে রোখার চেষ্টা করবেন। আরে ইঁদুর মারতে গিয়ে বেড়াল পুষতে যাবেন না. এই বিজেপি হচ্ছে বেড়াল, আর তৃণমূল ইঁদুর।”