রঙের উৎসবে সামিল হলেন রাজনীতিকরাও। সামনে লোকসভা নির্বাচন। ফলে, প্রার্থীরাও যে যাঁর মতো করে ভোটের প্রচার চালালেন। উৎসবের ফাঁকে জনসংযোগের কাজও চলল।
‘মেদিনীপুর বসন্ত উৎসব’ কমিটির উদ্যোগে প্রতিবারের মতো এ বছরও রবিবার দোলযাত্রার দিন মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে আবির খেলা, নাচ-গান। কচিকাঁচাদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। বাবা-মায়ের হাত ধরে তারাও উৎসবে সামিল হয়। সঙ্গীত শিল্পী জয়ন্ত সাহা ও অলোকবরণ মাইতির উদ্যোগে এই উৎসবের আয়োজন। উদ্যোক্তাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে উৎসবে সামিল হন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। আসেন তৃণমূলের তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায়, মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু প্রমুখ। আসেন সিপিএমের তাপস সিংহ, বিজয় পাল প্রমুখ। তাপসবাবু দলের রাজ্য কমিটির সদস্য। এ বার কাঁথি থেকে বামেদের প্রার্থী হয়েছেন। বিজয়বাবু দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। তাপসবাবু বলছিলেন, “রঙের উৎসবের আনন্দই আলাদা। আমি প্রতি বছর দোলের সকালে বিদ্যাসাগর হলের মাঠে আসি। উদ্যোক্তারা খুব সুন্দর ভাবে সমস্ত আয়োজন করেন। কত মানুষ আসেন। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়। এটাই ভাল লাগে।” এ দিন বিকেলে কাঁথিতেও গিয়েছিলেন তাপসবাবু।
অন্য দিকে, দীনেনবাবু বলেন, “দোলের সকালে বিদ্যাসাগর হলের মাঠে আবির খেলা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত থাকতে পারলে খুব ভাল লাগে। দোলের দিন মেদিনীপুরে থাকলেই এখানে চলে আসি।” আসেন বিজেপির শহর সভাপতি অরূপ দাস সহ আরও অনেকে। শুধু রাজনীতিকরা নন, বসন্ত উৎসবে সামিল হন মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্তও। উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা অলোকবরণবাবু বলছিলেন, “আমরা সকলকেই আমন্ত্রণ জানাই। এই উৎসব সকলের। এখানে আট থেকে আশি-সকলেই উৎসবের আনন্দে মাতেন। যে যাঁর মতো করে আনন্দ করেন। দেখতে দেখতে উৎসবের ৩২ বছর হয়ে গেল। এটাই ভাবতেই কেমন লাগছে। এ বারও প্রচুর মানুষ এসেছেন। আমরা সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।” মেদিনীপুরের বাম প্রার্থী সন্তোষ রানা রবিবার সিপিআই কার্যালয়েই ছিলেন। সেখানেই কর্মীদের সঙ্গে আবির খেলেন। সন্তোষবাবু বলছিলেন, “রঙের উৎসবের দিন দলের কোনও কর্মসূচি রাখিনি। এই দু’টো দিন মানুষ একটু অন্য ভাবেই কাটান। আনন্দ করেন। মঙ্গলবার থেকে ফের ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে।” অন্য দিকে, শনিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্র নিলয় হলে এক অনুষ্ঠান হয়। রবীন্দ্র স্মৃতি সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একক সঙ্গীত, সমবেত সঙ্গীত, আবৃত্তি, সমবেত নৃত্য পরিবেশিত হয়।